নয়াদিল্লি: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর শোকপালনে এ সপ্তাহের প্রিমিয়ার লিগের সব ম্যাচ স্থগিত থাকবে বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ। তবে ইংল্যান্ডের লিগ স্থগিত থাকলেও, বুন্দেশলিগা, লিগ ওয়ানের মতো জনপ্রিয় লিগের ম্যাচগুলি কিন্তু অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বুন্দেশলিগায় আজ দুই বড় দল বায়ার্ন মিউনিখ (Bayern Munich) এবং বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের (Borussia Dortmund) কেউই নিজেদেরর ম্যাচে জিততে পারল না। তবে লিগ ওয়ানে নিজেদের ম্যাচে জয় পেল প্যারিস সাঁ-জাঁ (Paris Saint-Germain)।


এগিয়ে থেকেও ড্র


গত দুই ম্যাচে বরুসিয়া মুনচেনগ্ল্য়াডবাখ ও উনিয়ন বার্লিনের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচই ১-১ গোলে ড্র করেছিল বায়ার্ন। এবার স্টুটগার্টের বিরুদ্ধেও ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল বুন্দেশলিগার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। ম্যাচের ফলাফল ২-২। ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষে কিন্তু বায়ার্নই ১-০ এগিয়েছিল। মাত্র দ্বিতীয়বার বায়ার্নের প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েই ৩৬ মিনিটের মাথায় স্টুটগার্টের জমাটি রক্ষণ ভাঙেন ম্যাথিয়াস টেল। ১৭ বছর ১৩৬ দিনে গোল করে বুন্দেশলিগায় বায়ার্নের হয়ে সবথেকে কম বয়সে গোল করার কৃতিত্ব নিজের নামে করে নেন টেল। 


দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই স্টুটগার্টের এক গোল ভিএআর বাতিল করে। তবে ৫৭ মিনিটেই ক্রিসের দুরন্ত গতির শটের কোনও জবাব ছিল না ম্যানুয়েল ন্যুয়ারের কাছে। তবে পিছিয়ে পড়লেও আরেক তরুণ জামাল মুসিয়ালা বায়ার্নকে ফের একবার দ্রুতই লিড এনে দেন। ম্যাচে বায়ার্নই ৯০ মিনিটেরও বেশি সময় পর্যন্ত এগিয়ে ছিল। তবে ম্যাথিয়াস ডিলিট পেনাল্টি বক্সে গুইরাসিকে ফাউল করে বসেন। ফলে পেনাল্টি পেয়ে যায় স্টুটগার্ট। সেখান থেকে দলকে ম্যাচে সমতায় ফেরাতে কোনও ভুল করেননি গিনিয়ান তারকা। বায়ার্ন ড্র করায় ডর্টমুন্ডের কাছে সুযোগ ছিল আরবি লাইপজিংকে হারিয়ে লিগের শীর্ষস্থান দখল করে নেওয়ার।


মেসির পাসে নেমারের গোল


তবে ৩-০ গোলে পরাজিত হয় ডর্টমুন্ড। ম্যাচের মাত্র ছয় মিনিটেই উইলি ওরবান লাইপজিংকে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ মিনিটে ডমিনিক সবজলাই দূরপাল্লার জোরালো শটে দলের লিড দ্বিগুণ করেন। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে ৮৪ মিনিটে লাইপজিংয়ের হয়ে আরেকটি গোল করে দলের জয় সুনিশ্চিত করেন হাইডারা। অপরদিকে, মেসি, নেমারের (Neymar) যুগলবন্দিতে ব্রেস্টকে হারিয়ে লিগ ওয়ানের শীর্ষে নিজেদের দাপট অব্যাহত রাখত পিএসজি। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে পথ বেছে নেয় পিএসজি। তবে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে ৩০ মিনিটে মেসির এক সুন্দর পাস থেকে গোল করেন নেমার।


এটি এবারের লিগে নেমারের ১০ নম্বর গোল। প্রথমার্ধের শেষ দিকে এমবাপে গোল করার দারুণ একটি সুযোগ পান বটে, তবে ব্রেস্ট গোলকিপার তা বাঁচিয়ে দেন। মেসি গোটা ম্যাচেই প্রচুর সুযোগ তৈরি করেন। তাঁর নেওয়া একটি শট বারে লেগে ফিরেও আসে। ব্রেস্ট ৭০ মিনিটে সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ পায়। ফাডিগাকে কিম্পেম্বে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় তারা। তবে ইসলাম স্লিমানির পেনাল্টি কিক বাঁচিয়ে দেন দোন্নারুম্মা। ফলে ম্যাচ পিএসজির পক্ষেই ১-০ শেষ হয়। লিগের সাত ম্যাচ পরে এখনও অপরাজিত রয়েছেন মেসিরা। লেন্সের থেকে দুই বেশি, ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তারা লিগ শীর্ষেও রয়েছেন।