মুম্বই: টিম ইন্ডিয়া বিশ্বের সেরা টেস্ট দলের তকমা পেতে না পেতেই বিসিসিআই-এর জন্য দুঃসংবাদ। নাও হতে পারে ইন্দোরে ৮ তারিখ থেকে শুরু হতে চলা ভারত-নিউজিল্যান্ড টেস্ট ম্যাচ। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিচারপতি লোধা কমিটি বোর্ডকে চিঠি লিখে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলিকে তাদের বার্ষিক ভর্তুকি বণ্টন ও অন্যান্য অর্থপ্রদান সম্পর্কে বিশদে জানতে চেয়েছে। ইমেলটি পাঠানো হয়েছে যে দুটি ব্যাঙ্কে বিসিসিআই-এর অ্যাকাউন্ট আছে, সেই ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র ও ইয়েস ব্যাঙ্কেও। দুটি ব্যাঙ্কই এরপর বোর্ডের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছে বলে খবর।

আচমকা এই ঘটনায় নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে সফরের জন্য দেওয়ার মত অর্থও ভারতীয় বোর্ডের কাছে নেই। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। এই চিঠি পাঠানোর আগে বিসিসিআই ওয়ার্কিং কমিটির কাজকর্ম সম্পর্কে জানতে লোধা কমিটি বোর্ডের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বলে অভিযোগ। ফলে বোর্ড কর্তাদের বক্তব্য, তৃতীয় টেস্ট যখন হচ্ছেই না, তখন নিউজিল্যান্ডকে সম্মানজনকভাবে বিদায় জানানো হোক, যাতে ক্রিকেট বিশ্বের সামনে বোর্ডের মুখরক্ষা হয়। লোধা কমিটি পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে, ৬ তারিখের মধ্যে সব কিছু মিটমাট হয়ে যাবে।

বোর্ডের অভিযোগ, লোধা প্যানেল শুধু নিজেরা যেটা ভাল মনে করছে, তাই করে চলেছে। অথচ দেশজুড়ে ক্রিকেট পরিকাঠামোর উন্নতি করতেই বিসিসিআই তাদের নিজেদের টাকা বণ্টন করেছে।

সোমবার লোধা কমিটি বোর্ড সচিব, কোষাধ্যক্ষ ও সিইও-কে ইমেল করে বলে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলির মধ্যে বড় অঙ্কের অর্থ বণ্টন করে চলেছে বিসিসিআই। ৩০ সেপ্টেম্বর বোর্ডের এমার্জেন্সি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে কমিটির তো বটেই, সুপ্রিম কোর্টেরও নির্দেশ লঙ্ঘন করেছে তারা। কারণ, সবরকম আর্থিক লেনদেন বন্ধ রাখার জন্য বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, নির্দেশ কোনওভাবে অগ্রাহ্য করা হলে তা সুপ্রিম কোর্টের গোচরে আনা হবে।

বোর্ড মেনে নিয়েছে, ক্রিকেট পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য সদস্য সংস্থাগুলির অনুরোধে সংস্থাগুলির বার্ষিক ভর্তুকি ৬০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৭০ কোটি করেছে তারা। ২৭টি সদস্য সংস্থাই যদি এই অতিরিক্ত ভর্তুকি নেয়, তবে বোর্ডের খরচ হবে ১৮৯০ কোটি টাকা।

এখন কমিটির ইমেল পেয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কদুটি বোর্ডের যাবতীয় অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ায় অনুরাগ ঠাকুররা ভালরকম গাড্ডায় পড়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে গোটা হোম সেশনের ভবিষ্যৎ নিয়ে।