সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক রোহিত ব্যাট হাতে দুরন্ত ছন্দে আছেন। ২০১৯ সালে তিনি আইসিসি-র বর্ষসেরা হয়েছিলেন। ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যাটসম্যান যাঁর একটি ওয়ান ডে বিশ্বকাপে পাঁচটি সেঞ্চুরি করার নজির রয়েছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চারটি সেঞ্চুরি থাকা একমাত্র ব্যাটসম্যান তিনি। টেস্টে ওপেনার হিসাবে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যাটসম্যান তিনি।
অভিষেক টেস্টে দ্রুততম সেঞ্চুরির নজির রয়েছে শিখর ধবনের ঝুলিতে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি রানের জন্য পরপর দুবার গোল্ডেন ব্যাট জেতা ক্রিকেটার তিনি।
এশিয়ার বাইরে ভারতীয় পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট পাওয়ার কীর্তি রয়েছে ইশান্তের। পাশাপাশি ভারতীয়দের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ হিসাবে ক্রিকেটের তিন ফর্ম্যাটে খেলার কৃতিত্ব রয়েছে তাঁর। অন্যদিকে দীপ্তি একমাত্র ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটে ওয়ান ডে-তে এক ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়েছেন।
বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ‘সমস্ত পরিসংখ্যান দেখে আমরা নামগুলো পাঠিয়েছি। ব্যাটসম্যান হিসাবে নতুন মাইলফলক তৈরি করেছে রোহিত। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এমন কিছু নজির গড়েছে যা মানুষ একসময় বিশ্বাস করতে পারত না। নিষ্ঠা, পরিশ্রম, আচরণ আর নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতার জন্য ওর এই পুরস্কার প্রাপ্য।’ সৌরভ যোগ করেছেন, ‘ভারতীয় টেস্ট দলের সবচেয়ে সিনিয়র বোলার ইশান্ত। ভারত যে টেস্টে দীর্ঘদিন বিশ্বের সেরা ছিল, তার নেপথ্যে ইশান্তের ভূমিকা অনেক। পেসারদের চোট-আঘাত লাগে আর ইশান্তও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে প্রত্যেকবার দারুণ প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছে ও। শিখর ধারাবাহিকভাবে রান করে। আইসিসি প্রতিযোগিতায় বরাবর সফল। দীপ্তি দারুণ অলরাউন্ডার। দলের সাফল্যে অনেক অবদান রয়েছে ওর।’