মুম্বই: দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা অবশেষে ফলপ্রসূ হতে চলেছে। শুরু হতে চলেছে মহিলাদের আইপিএল। আগামী বছর মার্চেই বসছে মহিলাদের আইপিএল টুর্নামেন্ট। মোট পাঁচটি দল অংশ নেবে এই প্রতিযোগিতায়। তারা প্রত্যেকে একে অপরের বিরুদ্ধে দুটো করে ম্যাচ খেলবে। বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানাে হয়েছে যে আগামী বছর মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই শুরু হবে মহিলাদের আইপিএল। মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বিসিসিআই মোট ২২টি ম্যাচ আয়োজন করতে চলেছে। গ্রুপ পর্বে হবে ২০টি ম্যাচ। লিগ ফর্ম্য়াটে খেলা হবে। লিগ পর্যায়ে যে দল শীর্ষে থেকে শেষ করবে সে সরাসরি চলে যাবে ফাইনালে। দুই ও তিন নম্বরে থাকা দল এলিমিনেটর খেলবে। যারা জিতবে তারা যাবে দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালে। নিয়ম অনুযায়ী প্রথম একাদশে ৫ জনের বেশি বিদেশি রাখা যাবে না। সেই বিদেশিদের মধ্য়ে ১ জন হবে অ্যাসোসিয়েট দেশের। মোট ১৮ জন প্লেয়ার প্রতিটি দল তাঁদের স্কোয়াডে রাখতে পারবে।
এশিয়া কাপের ফাইনালে হরমনপ্রীতরা
তাইল্যান্ডকে ৭৪ রানের বিরাট ব্যবধানে পরাজিত করে প্রথম দল হিসাবে মহিলাদের এশিয়া কাপের ফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করল ভারতীয় দল। বল হাতে ফের একবার অনবদ্য পারফর্ম করলেন দীপ্তি শর্মা। ভারতের হয়ে তিনিই সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন।
দুরন্ত দীপ্তি
১৪৮ রানের পুঁজি নিয়ে এদিন বল করতে নামে ভারত। গত ম্য়াচে তাইল্যান্ডকে মাত্র ৩৭ রানেই অল আউট করে দিয়েছিলেন ভারতীয় স্পিনাররা। তবে এই ম্যাচে এমনটা হল। তাইল্যান্ডকে অল আউট করতে ব্যর্থ হয় ভারতীয় দল। অবশ্য নির্ধারিত বিশ ওভারে তাই ব্যাটারদের অল্প রানেই সীমাবদ্ধ রাখেন ভারতীয় বোলাররা। তাইল্যান্ড প্রথমবার এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে নয় উইকেটে ৭৪ রানের বেশি করতে পারেনি। ছয় ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে এমনিতেই এশিয়া কাপের অন্যতম সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহক ছিলেন দীপ্তি। সেমিফাইনালে তাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে আরও তিনটি উইকেট নেন তিনি।
টপ অর্ডারের রানের দৌলতেই এই টুর্নামেন্টে সাফল্য পেয়েছে তাইল্যান্ড। ভারতীয় বোলাররা সেই তাই টপ অর্ডারকে সম্পূর্ণভাবে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়। দীপ্তি শর্মাই প্রথম আঘাতটি হানেন। তৃতীয় ওভারেই নান্নাপাতকে ফেরান তিনি। মাত্র ২১ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বিশাল চাপে পড়ে যায় তাইরা। পঞ্চম উইকেটে ৪২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে বটে তাইল্যান্ড, তবে ওই শুরু, ওই শেষ। আর তেমন কোনও পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে পারেনি তাই দল। দীপ্তি ছাড়া রাজেশ্বরী গায়কোয়াড ভারতের হয়ে দুইটি উইকেট নেন।