মুম্বই: অলিম্পিক্সে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হলে ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলসের প্রস্তাবিত গেমসে পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেট দল পাঠাতে পারে ভারত। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে এ ব্যাপারে সহমত হয়েছেন সকলে।


করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্স করে আলোচনায় বসেছিলেন বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য়রা। সেখানেই অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, অলিম্পিক্সে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হলে ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস গেমসে পুরুষ ও মহিলা, দুই ক্রিকেট দলই পাঠানোর ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন সদস্যরা। অর্থাৎ, সব কিছু ঠিকঠাক চললে সাত বছর পরের অলিম্পিক্সে খেলতে দেখা যেতে পারে বিরাট কোহলি ও হরমনপ্রীত কৌরদের।


পাশাপাশি সিদ্ধান্ত হয়েছে, পরের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে বার্মিংহামে কনমওয়েলথ গেমসে অংশ নেবে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল।


ক্রিকেট অবশ্য আগেও অলিম্পিক গেমসের অংশ ছিল। তবে সেটা একশো বছর আগে, ১৯০০ সালের অলিম্পিক গেমসে। এরপর থেকে নানা সময়ে অলিম্পিক্সে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব উঠলেও শেষ পর্যন্ত তা দিনের আলো দেখেনি। শুক্রবার বিসিসিআইয়ের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকের পর বোর্ডের এক আধিকারিক সংবাদসংস্থাকে বলেন, 'লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক গেমসে যদি ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হয়, তাহলে ভারত দল পাঠাতে প্রস্তুত। এতে মহিলা ও পুরুষ উভয় দলের ক্রিকেটের আন্তর্জাতিকীকরণ নতুন গতি পাবে।'


ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সম্প্রতি একটি কমিটি গঠন করে অলিম্পিক গেমসে খেলার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে। কিন্তু বিসিসিআই ভারতের ডোপিং বিরোধী এজেন্সি নাডা-র অধীনে আসতে রাজি ছিল না। অথচ এই প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র নিয়ে ভারত থেকে অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ করতে হয়। কিন্তু সম্প্রতি বিসিসিআই নাডার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় এবং এর ফলে অলিম্পিক্সে দল পাঠানোর পথে বিসিসিআইকে রাজি করাতে আইসিসির সুবিধা হয়েছে বলেই খবর।


মাকে ছাড়া প্রথম রমজানের উপবাস, মন খারাপ রশিদের


ভারতীয় বোর্ডের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, ক্রিকেটের বিশ্বায়নে ভারত তাদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে আগ্রহী। আপাতত তারা মহিলা ক্রিকেটের প্রতি বিশেষ নজর দিচ্ছে এবং এই কারণেই বার্মিংহামে দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর সকলের নজর থাকবে অলিম্পিক্সে।