সেমিফাইনালে উঠতে গেলে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান, দু দলের কাছেই ছিল মরণবাঁচন ম্যাচ। সেই ম্যাচে মোহনবাগান জিতল ৩৬ রানে। ব্যাট হাতে সফল বিবেক সিংহ। ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরি করলেন তিনি। বল হাতে নায়ক অনুরাগ তিওয়ারি। তিনি নিলেন ৪ উইকেট। রবিবারের জয়ের ফলে তপন মেমোরিয়াল ক্লাব ও টাউন ক্লাবের সঙ্গে তৃতীয় দল হিসাবে সিএবি-র নতুন টুর্নামেন্ট বেঙ্গল টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জের শেষ চারে পৌঁছে গেল মোহনবাগান। আর একটি জায়গার জন্য এখন লড়াই চলছে।
মরসুমের দ্বিতীয় ডার্বিতেও জিতে উচ্ছ্বসিত মোহনবাগানের অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার। বলেছেন, "আমি ভীষণ খুশি। এই জয় দলগত সাফল্যের নিদর্শন। শেষ তিন ম্যাচে আমরা দারুণ ক্রিকেট খেলেছি যেটা আর কোনও দলই খেলতে পারেনি বলেই আমার ধারণা। একই টুর্নামেন্টে পরপর দুটি ডার্বিতে জয় আমার ও আমাদের দলের কাছে খুব স্পেশ্যাল একটা মুহূর্ত।"
রবিবার টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানকে শুরুতেই সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে দেয় বিবেক সিংহের ইনিংস। ৩৫ বলে ঝোড়ো ৫৮ রান করেন তিনি। অনুষ্টুপ করেন ২৮ বলে ৪৪ রান। টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন। রবিবারও সফল অনুষ্টুপ। নির্ধারিত ২০ ওভারে মোহনবাগান তোলে ১৫২/৭। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সুজিত কুমার যাদব ৩৪ রানে ৩টি ও আকাশ পাণ্ডে ২০ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।
রান তাড়া করতে নেমে ইস্টবেঙ্গলের শুরুটা ভাল হয়। দুই ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও শ্রীবৎস গোস্বামী ৪৬ রান যোগ করেন। তবে তারপর নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে লাল-হলুদ শিবির। ৪১ বলে ৫৫ রান করে একক লড়াই চালিয়েছিলেন বাংলার রঞ্জি অধিনায়ক অভিমন্যু। তবে লাভ হয়নি। ২৭ রানে ৪ উইকেট নেন অনুরাগ। ১৭.৫ ওভারে মাত্র ১১৬ রানে অল আউট হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মোহনবাগান ১৫২/৭ (বিবেক সিংহ ৫৮, অনুষ্টুপ মজুমদার ৪৪, সুজিত কুমার যাদব ৩-৩৪, আকাশ পাণ্ডে ২-২০)
ইস্টবেঙ্গল ১১৬ অল আউট, ১৭.৫ ওভারে (অভিমন্যু ঈশ্বরণ ৫৫, অনুরাগ তিওয়ারি ৪-২৭)
মোহনবাগান জয়ী ৩৬ রানে।