ইডেনে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেন মোহনবাগান অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার। তবে শুরুতেই পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল তপন মেমোরিয়াল। মাত্র ৪০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট খুইয়ে বসেছিল তারা। মোহনবাগানের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন আকাশ দীপ ও রাজকুমার পাল। এরপরই কাইফ আহমেদের সঙ্গে জুটি বেঁধে পাল্টা লড়াই শুরু করেন শাহবাজ। পঞ্চম উইকেটে ৭৮ রান যোগ করেন দুজনে। শাহবাজের ৫৪ রানের ইনিংসে ছিল দুটি চার ও চারটি ছক্কা। ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন কাইফ। নির্ধারিত ২০ ওভারে তপন মেমোরিয়াল তোলে ১৪৫/৬।
শাহবাজের হাতে ট্রফি তুলে দিচ্ছেন সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া। সঙ্গে সিএবি-র সহ-সভাপতি নরেশ ওঝা (ডানদিকে), কোষাধ্যক্ষ দেবাশিষ গঙ্গোপাধ্যায়, যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস। ছবি সৌজন্যে সিএবি।
ট্রফি নিয়ে উল্লাস তপন মেমোরিয়ালের ক্রিকেটারদের।
রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয় হয় মোহনবাগানের। ১৮ ওভারে মাত্র ১১২ রানে অল আউট হয়ে যায় মোহনবাগান। ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন বাঁহাতি স্পিনার শাহবাজ। ১৫ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন রমেশ প্রসাদ। একটি করে উইকেট গৌরব চৌহান, প্রয়াস রায় বর্মন ও বিকাশ সিংহের। ব্যাট হাতে একাই লড়াই করেন মোহনবাগানের অধিনায়ক অনুষ্টুপ। ৩২ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরে ৪৬ রান করেন তিনি। বিবেক সিংহ ৩৪ বলে ৩০ রান করেন। মোহনবাগানের আর কেউই দুই অঙ্কে পৌঁছতে পারেননি।
ম্যাচের সেরা হয়েছেন শাহবাজ। তিনি বলেন, "তপন মেমোরিয়ালের হয়ে এই টুর্নামেন্টে শুরু থেকেই ছন্দে ছিলাম। ম্যাচের আগের দিন চোট ছিল। তবে ফিজিও শুশ্রূষায় সেরে উঠে মাঠে নামি। আমাদের ইনিংসের শুরুটা ভাল হয়নি। তবে বোর্ডে ভদ্রস্থ রান ওঠার পর জানতাম জায়গায় বল করতে পারলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দারুণ সুযোগ রয়েছে।"