হায়দরাবাদ: বিশ্বকাপ শেষ হওয়া ইস্তক তাঁর অবসর নিয়ে জল্পনা চলছে। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি নিজে এ নিয়ে কিছু জানাননি। বরং ছুটি নিয়ে টেরিটোরিয়াল আর্মির প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছেন। জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনের মতে, ধোনির সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলা উচিত নির্বাচকদের।


আজহারউদ্দিন বলেছেন, ‘একজন খেলোয়াড় খেলতে চায়। তবে কতদিন আর কীভাবে খেলা চালিয়ে যেতে চাইছে, সেটা নিয়ে নির্বাচকদের কথা বলতে হবে। বড় প্লেয়ারদের ক্ষেত্রে তার সঙ্গে কথা বলে আস্থা অর্জন করতে হয়। আমার মনে হয় একটা সিদ্ধান্ত হবে। তা নাহলে লোকে লিখতেই থাকবে ওর অবসর নেওয়া উচিত না অনুচিত তা নিয়ে। কারণ এখনও পর্যন্ত ধোনি নিজে কিছু বলেনি।’

অনেকেই মনে করছেন যে, ধোনির আর কিছু দেওয়ার নেই। তবে আজহার বলছেন, ‘যদি ও ফিট থাকে আর ভাল খেলে, তাহলে চালিয়ে যাওয়া উচিত। ও ফিট থাকলে আর পারফরম্যান্স ভাল হলে খেলে যেতে পারে। মাঝে মধ্যে প্রচুর ক্রিকেট খেলার পর আগ্রহটা হারিয়ে যায়। যদি ওর ইচ্ছেটা এখনও একশো শতাংশ থাকে, তাহলে খেলা চালিয়ে যেতে পারে।’

সেই সঙ্গে আজহার বলেছেন, ‘ধোনির কাছে আমার একটা অনুরোধ আছে। খেললে আগ্রাসীভাবে খেলো। একটা বয়সের পর রিফ্লেক্স কমে যায়। ধোনিকে দেখে সেটা মনে হচ্ছে না। ও নিজের সহজাত ক্রিকেটটা খেললে ভারতের ভালই হবে।’

পাশাপাশি আজহার মনে করেন, ধোনি তাঁর কেরিয়ার নিয়ে যে অবস্থানই নিক না কেন, সঠিক সিদ্ধান্তই নেবেন। ‘দুমাস বিশ্রাম চেয়েছে। তারপরই হয়তো বলবে কী করতে চায়। আমার মনে হয় সঠিক সিদ্ধান্তই নেবে,’ বলেছেন জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক।

নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদ জানিয়েছেন, টিম ম্যানেজমেন্ট ওপেনার চাওয়ায় অম্বাতি রায়াডুকে বিশ্বকাপে পাঠানো যায়নি। যদিও মানতে পারছেন না আজহার। বলেছেন, ‘বিকল্প হিসাবে কাউকে রাখা হলে পরিবর্ত দরকার হলে তাকেই সুযোগ দেওয়া উচিত। নির্বাচককে অধিনায়ক ও কোচের কথা মানতেই হবে তার কোনও মানে নেই। পরিষ্কার বলে দেওয়া যেত যে, না আমরা এই ক্রিকেটারকে পাঠাচ্ছি। অধিনায়ক থাকাকালীন আমিও অনেক ক্রিকেটারকে চাইতাম কিন্তু নির্বাচকেরা না বলে দিতেন। প্রসাদের ব্যাখ্যা মানতে পারছি না।’