তামিলনাড়ু: বিজয় হাজারে ট্রফিতে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল হরিয়ানা ও তামিলনাড়ু (Haryana vs Tamil Nadu)। সেই ম্যাচেই ইনিংসের ফাঁকে বাথরুমে পড়ে গিয়ে মুখ ফেটে গিয়েছিল বাবা ইন্দ্রজিতের। কিন্তু দলের প্রয়োজন ছিল তাঁকে। ঠোঁট রক্তে ভেসে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতেও মাঠ ছাড়েননি বাবা। তিনি ইনিংস বিরতির পর ফের ব্যাট করতে নামেন। দলকে জেতাতে পারেননি এই ব্যাটার। কিন্তু তাঁর লড়াকু মনোভাব মন জয় নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাইকে। হরিয়ানা প্রথম ব্য়াট করে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ২৯৩ রান তুলেছিল। জবাবে তামিলনাড়ু ২৩০ রানে গুটিয়ে যায়।
রান তাড়া করতে নেমে তামিলনাড়ু ৭৬ রানের মধ্যে ৪টি উইকেট হারিয়ে ফেলে। এরপর ব্যাট করতে নেমেছিলেন বাবা ইন্দ্রজিৎ। তাঁর ঠোঁট থেকে চোখের নীচ পর্যন্ত মোটা ব্য়ান্ডেজে বাঁধা ছিল। ওই অবস্থায় বাবা ব্য়াট করেন। শুধু ব্য়াটই করেননি। দারুণ ইনিংসও খেলেন তিনি। ৭১ বলে ৬৪ রান করেন। হাঁকান পাঁচটি বাউন্ডারিও। ১১৩ মিনিট ক্রিজে ছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিজয় হাজারে ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালেও চমক। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রবল শক্তিশালী দল কর্নাটককে হারিয়ে দিল রাজস্থান (Rajasthan vs Karnataka)। পৌঁছে গেল ফাইনালে। গোটা ম্যাচের পরতে পরতে নাটক। ২৮৩ রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় ২৩/৩ হয়ে গিয়েছিল রাজস্থান। সকলে ধরেই নিয়েছিলেন যে, ময়ঙ্ক অগ্রবালদের ফাইনালে পৌঁছনো স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু সেখান থেকেই অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে দেন দীপক হুডা। ১২৮ বলে ১৮০ রান করেন তিনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন কর্ণ লাম্বা। ৭৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। চতুর্থ উইকেটে ২৫৫ রান যোগ করেন হুডা ও লাম্বা। ৩৮ বল বাকি থাকতে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রাজস্থান। শনিবার ফাইনালে তাদের সামনে হরিয়ানা।
রাজকোটে টস জিতে প্রথমে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কর্নাটকের অধিনায়ক ময়ঙ্ক। রাজকোটের ব্যাটিং সহায়ক পিচে শুরুতেই বড় স্কোর তুলে নেওয়াই ছিল লক্ষ্য। কিন্তু শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে কর্নাটক। ইনিংস ওপেন করতে নেমে মাত্র ১৩ রান করে অনিকেত চৌধুরীর বলে ফেরেন ময়ঙ্ক। ক্রিজে সেট হয়ে গিয়েও বড় রান পাননি মণীশ পাণ্ডে। ৪৮ বলে ২৮ রান করে ফেরেন। কর্নাটক ইনিংসকে টানেন অভিনব মনোহর ও মনোজ ভান্ডাগে। ৮০ বলে ৯১ রান করেন মনোহর। ৩৯ বলে ৬৩ রান করেন ভান্ডাগে। ব্যাটিং অর্ডারের ৬ ও ৭ নম্বর ক্রিকেটারদের লড়ািয়ে কর্নাটক নির্ধারিত ৫০ ওভারে তোলে ২৮২/৮।
জবাবে ব্য়াট করতে নেমে ৪৩.৪ ওভারে লক্ষ্যপূরণ রাজস্থানের। হুডার ১৮০ রান লিস্ট এ ক্রিকেটে তাঁর সেরা। এর আগে তাঁর সেরা ইনিংস ছিল ১৬১ রানের। ক্রুণাল পাণ্ড্যর সঙ্গে ঝামেলার পর তিনি বঢোদরা ছেড়ে রাজস্থানে যোগ দিয়েছিলেন। অধিনায়ক হিসাবে উদাহরণ তৈরি করলেন হুডা।