সাও পাওলো: প্রয়াত হলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি কোচ মারিও  জাগালো (Mario Zagallo)। বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘদিন ধরেই। ফুটবলার ও কোচ হিসেবে চারবার বিশ্বকাপ জিতেছেন। 


জাগালোর ইনস্টাগ্রামে তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। ১৯৫৮ ও ১৯৬২ বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল দলের সদস্য ছিলেন জাগালো।বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলের সেই দলের জীবিত একমাত্র সদস্য হিসেবে এত দিন বেঁচে ছিলেন জাগালো। ১৯৬২ সালে পরপর দুবার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল।  এরপর ১৯৭০ সালে  ব্রাজিল ফের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়। আর সেই দলের কোচ ছিলেন জাগালো।  ১৯৯৪ সালের  বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল দলের সহকারী করছিলেন এই কিংবদন্তি। 


শনিবার তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়ে একটি পোস্টে লেখা হয়, “দুঃখের সঙ্গে জানানো হচ্ছে, বিশ্বকাপজয়ী মারিয়ো জাগালো প্রয়াত। তিনি পরিবারকে অসম্ভব ভালবাসতেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তাঁর সঙ্গে কাটানো প্রতিটা সময় উপভোগ করেছি আমরা।”


উল্লেখ্য, পেশাদার জীবনের প্রথম দিকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন জাগালো। ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপে মারাকানা স্টেডিয়ামে রক্ষী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ১৯ বছরের জাগালো। এর ৮ বছর পরই পেলের সঙ্গে জুটি বেঁধে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন ব্রাজিলকে। 


২০০২ বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিল দলের কেয়ারটেকার কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন জাগালো। বিশ্বকাপ ছাড়াও সেলেসাওদের কোচ হিসেবে জিতেছিলেন কোপা আমেরিকা (১৯৯৭), ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ (১৯৯৭)।  তার অধীনে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ, ১৯৯৫ কোপা আমেরিকায় রানার্সআপ হয় ব্রাজিল।


ইস্টবেঙ্গল কোচের প্রশংসায় শৌভিক


ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (ISL) বঙ্গ ফুটবলারদের তালিকায় তিনি থাকলেও গত মরশুম পর্যন্ত তারকা হয়ে উঠতে পারেননি। কিন্তু চলতি মরশুমে শৌভিক চক্রবর্তীকে (Souvik Chakrabarti) তারকার তকমা দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal FC) সমর্থকেরা। কারণ, লাল-হলুদ ব্রিগেডের মাঝমাঠে তিনি হয়ে উঠেছেন অন্যতম প্রধান ভরসা। যে ভাবে নিজেকে ক্রমশ মেলে ধরছেন বরাহনগরের শৌভিক, যেভাবে পরিশ্রম করে নিজের সেরাটা দিচ্ছেন ৩২ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার, তার পরে তাঁর তারকার তকমা পাওয়াই স্বাভাবিক। 


এই উন্নতির জন্য শৌভিক কৃতিত্ব দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে (Carles Cuadrat)। বলেছেন, “আমাদের কোচ কুয়াদ্রাত আমাদের দলের প্রধান চালিকাশক্তি। মাঠ হোক বা মাঠের বাইরে, উনি সব সময় দলকে আগলে রাখেন এবং উজ্জ্বীবিত করেন। এমন একজন কোচ থাকলে ভাবনা, প্রকাশ, দর্শন সবই পাল্টে যায়।”