কলকাতা: জল্পনা চলছিল অনেকদিন ধরেই। অবশেষে সেই জল্পনাই সত্যি হল। ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙল ব্রাইট এনোবাখারের। দু মরসুমের জন্য ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ডিভিসনের ক্লাব কোভেন্ট্রি সিটি এফসি-তে সই করলেন তিনি।
গত মরসুমে আইএসএলে প্রথমবারের জন্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয় ট্রান্সফার উইন্ডোতে নাইজিরীয় এই স্ট্রাইকার ইস্টবেঙ্গলে সই করেন। গত মরসুমে লাল-হলুদ জার্সিতে সেরা খেলোয়াড় ছিলেন এনোবাখারেই।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ও ইনভেস্টর শ্রীসিমেন্টের মধ্যে এখনও চূড়ান্ত চুক্তি না হওয়ায় বাধ্য হয়েই দল ছাড়ছেন অনেক ফুটবলার। সেই তালিকায় এবার নবতম সংযোজন ব্রাইট এনোবাখারে।
গত জানুয়ারিতে স্বল্প মেয়াদী চুক্তিতে ইস্টবেঙ্গলে খেলতে আসা বছর তেইশের ব্রাইট সকলের নজর কেড়েছিলেন। কয়েকদিন ধরেই খবর ছিল যে, ব্রাইটকে তাঁর পুরনো ক্লাব কোভেন্ট্রি সিটি (Coventry City) আবার খেলার প্রস্তাব দিয়েছে। এই ক্লাবে ব্রাইট অর্ধেক মরসুম লোনে খেলেছেন ২০১৯ সালে।
ব্রাইট তাঁর কেরিয়ারে কোনও ক্লাবেই দীর্ঘ সময় ধরে খেলেননি। ব্রাইটের ভারতে আসার অন্যতম কারণ ছিল ইস্টবেঙ্গল কোচ ও প্রাক্তন লিভারপুল কিংবদন্তি রবি ফাউলার (Robbie Fowler)। তিনিই ব্রাইটকে লাল-হলুদ জার্সিতে খেলাতে চেয়েছিলেন। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ১২টি ম্যাচে ৩ গোল করেছিলেন ব্রাইট। এর মধ্যে ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে তাঁর করা গোলটি আইএসএলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা হয়ে থাকবে। কোভেন্ট্রি সিটির কোচ মার্ক রবিনস দল গোছাতে শুরু করে দিয়েছেন। তিনি চাইছিলেন একজন স্ট্রাইকার ও আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডারকে। সেই ভূমিকায় ব্রাইট তাঁর প্রথম পছন্দ। আসন্ন মরশুমের জন্য একজন মিডফিল্ডার, একজন স্ট্রাইকার ও একজন গোলকিপারকে সই করিয়েছে কোভেন্ট্রি সিটি।
গত মরসুমে আইএসএলে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয় এসসি ইস্টবেঙ্গল। যদিও পরের দিকে ব্রাইট এনোবাখারের সঙ্গে চুক্তি করার ইতিবাচক ফল পায় রবি ফাওলারের দল। ১২টি ম্যাচে তিনি খেলেছেন। সব মিলিয়ে আইএসএলে খেলেছেন ৯৩৬ মিনিট। তিন গোল করেছেন, একটি গোলের ক্ষেত্রে সহায়তা করেছেন। ২৩ বছরের সেন্টার ফরওয়ার্ডের দক্ষতা অনেকের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছিল।