লিডস: স্বপ্ন থেকে আর দুই ধাপ দূরেই ভারত। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড, আর তারপর ফাইনালে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জয়ী (অস্ট্রেলিয়া অথবা ইংল্যান্ড) দলের বিরুদ্ধে জয় এলেই কেল্লাফতে। ১৯৮৩ সালে কপিল দেবের নেতৃত্বে প্রথম বিশ্বকাপ জয়। ২৮ বছর পর ঘরের মাটিতে ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বসেরার মুকুট অর্জন। আর এবার বিলেতে বিশ্বকাপ জয়ের দোরগাড়ায় বিরাটের নেতৃত্বাধীন ভারত।  অলীক কল্পনা নয়, ভারত বিশ্বকাপ জিতবে যোগ্য দল হিসেবেই আশাবাদী প্রাক্তনীরাও। আর এই জয় অর্জনে বিরাটের সর্বশ্রেষ্ঠ অস্ত্র হবেন স্পিডস্টার যশপ্রীত বুমরাহ, এমনই মত প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তের।


৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তের মতে, বিরাটরা ভাগ্যবান, যে বুমরাহর মতো একজন বোলারকে তাঁরা পেয়েছে। তাঁর কথায়, “বিরাটের ব্রহ্মাস্ত্র বুমরাহ। বুমরাহ এমনই একজন বোলার, যে নতুন বলে উইকেট নিতে পারে, প্রয়োজনে বিপক্ষের যুগলবন্দি ভাঙতে পারে এবং ডেথ ওভারেও চাপ তৈরি করতে পারে।” ৫৯ বছরের এই প্রাক্তনীর কথায়, ভারতীয় বোলিং আক্রমণের নেতা বুমরাহই। একই সঙ্গে হিটম্যানের প্রশংসাও শোনা গেল শ্রীকান্তের কথায়। রোহিত ইতিমধ্যেই শতরানের হ্যাটট্রিক করে ফেলেছেন। চলতি বিশ্বকাপেই সর্বাধিক ৫টি শতরানের রেকর্ডও তাঁর ঝুলিতে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই নজির আর কোনও ক্রিকেটারের নেই। এই ফর্ম যদি সেমিতেও দেখা যায়, তাহলে ভারতকে যে রোখা মুশকিল হবে তা ভালই জানে কেন উইলিয়ামসনরাও। জেসন রয় এবং জনি বেয়ারস্টোরা যতই বিস্ফোরক হন না কেন, এই বিশ্বকাপে ধারাবাহিকতার সমার্থক শব্দ রোহিত শর্মাই।


কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তের কথায়, “রোহিতের গতি বাড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে। ও খুব শান্ত। এমন অনেকেই আছেন, যারা পাওয়ার প্লে-তে রান না পেলে ঘাবরে যান। কিন্তু রোহিতকে কখনও এমনটা হতে দেখিনি। ও খুব ধীরে শুরু করে এবং শেষের দিকে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। রোহিতের যে শুধু বড় বড় শট খেলার ক্ষমতাই রয়েছে তা নয়, ও খুব ভাল ডিফেন্সও করতে জানে।”