কলকাতা: নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন দেবাঙ্গ গাঁধী। বাংলার অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলের কোচ হিসাবে দায়িত্ব পেলেন জাতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার।


বাংলার অনূর্ধ্ব ১৯ দলকে কোচ ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রণব নন্দী। তাঁর পরিবর্তেই দেবাঙ্গকে নিয়ে এল সিএবি।


কয়েকদিন আগেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনিই দেবাঙ্গের নতুন দায়িত্ব পাওয়ার খবর জানান। স্নেহাশিস বলেন, 'দেবাঙ্গ ওপেনার হিসাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে। বাংলার হয়ে দাপটের সঙ্গে খেলেছে। ওকে বাংলার অনূর্ধ্ব ১৯ কোচ হিসাবে নিয়োগ করা হল। বাংলার উদীয়মান ক্রিকেটারেরা ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলতে শিখবে ওর প্রশিক্ষণে।'


দেবাঙ্গ নিজেও দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত। বলেছেন, 'আমার কাছে এটা দ্বিতীয়বারের জন্য বাংলার ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ। উঠতি ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করতে পারব ভেবে দারুণ লাগছে। নতুন প্রতিভা খুঁজে বার করে তাদের সঠিক পরিচর্যা করা আমার কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ। দায়িত্ব পেয়ে আমি কাজ শুরু করে দিতে মুখিয়ে রয়েছি।'


ভারতের জাতীয় দলের হয়ে ৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন দেবাঙ্গ। দুটি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর। সর্বোচ্চ ৮৮ রান। জাতীয় দলের হয়ে ৩টি ওয়ান ডে-ও খেলেছেন তিনি।


এর আগে জাতীয় নির্বাচকও ছিলেন দেবাঙ্গ। তবে নির্বাচক থাকাকালীন তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বিশেষ করে বাংলার সিনিয়র কয়েকজন ক্রিকেটার বারবার ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছিলেন যে, পারফর্ম করার পরও জাতীয় স্তরে বঞ্চিত থাকছেন তাঁরা এবং এ ব্যাপারে নির্বাচক কমিটিতে পূর্বাঞ্চলের প্রতিনিধি হিসাবে দেবাঙ্গ থাকলেও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছেন না।


বিতর্ক আরও তীব্র হয় ২ বছর আগে ইডেনে বাংলা বনাম অন্ধ্রপ্রদেশ রঞ্জি ট্রফি ম্যাচের সময়। বৃষ্টি ও কম আলোয় খেলা বন্ধ থাকার সময় বাংলার ড্রেসিংরুমে ঢুকতে গিয়েছিলেন দেবাঙ্গ। কিন্তু বাংলার ক্রিকেটারদের আপত্তিতে তাঁকে আটকান ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিক। পরে সিনিয়র ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি বলেছিলেন, 'আমাদের দুর্নীতি দমনের বিভিন্ন নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। জাতীয় নির্বাচক অনুমোদন ছাড়া বাংলার ড্রেসিংরুমে ঢুকতে পারেন না।' যা নিয়ে বেশ হইচই বেঁধেছিল।