নয়া দিল্লি: আফগানিস্তানের কাবুলের অশান্ত পরিস্থিতির মাঝে আটকে থাকা ভারতীয় দূতাবাসের সমস্ত কর্মীদের দেশে ফেরাল নয়া দিল্লি, মঙ্গলবার টুইট করে এমনটাই জানালেন বিদেশমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তিনি জানিয়েছেন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই এই অসাধ্যসাধনের কাজ করা সম্ভব হয়েছে। অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাস কর্মীদের দেশে ফেরানো হয়েছে।


এই কাজে সকলকে সহযোগীতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন মন্ত্রী। কাবুলে ভারতের দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রদূত এবং ভারতীয় কর্মীদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নয়াদিল্লি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভারতীয় সেনার দুটি বিশেষ বিমানে সমস্ত কর্মীদের দেশে ফিরে আনার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র একটি হেল্পলাইন নম্বর এবং ইমেল আইডি টুইট করে জানিয়েছেন সাহায্যপ্রার্থীদের জন্য।



 ১৪০ জন ভারতীয় এই মুহূর্তে কাবুলে দূতাবাসে ছিলেন বলেই সূত্রের খবর। তাঁদের সকলকেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানান হয়েছে। মঙ্গলবার ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৭ বিমানে করে ১২০ জন ভারতীয় কর্মী-আধিকারিককে ফেরানো হয়েছে। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, ভারতের রাষ্ট্রদূত এবং ভারতীয় কর্মীদের দ্রুত ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সেদেশের পরিস্থিতি দেখে এই সিদ্ধান্ত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি ট্যুইট করে জানান, “বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে কাবুলে আমাদের রাষ্ট্রদূত এবং তাঁর ভারতীয় কর্মীদের অবিলম্বে ভারতে ফেরোনা হবে।”



কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, আগামী দু’একদিনের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে নিরাপদে ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।  এরইমধ্যে বিদেশ মন্ত্রক আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসার জন্য বিশেষ -ভিসা চালু করেছে। সোমবার কাবুল বিমানবন্দর ও আফগানিস্তানের আকাশ পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভারতীয়দের উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়েছিল। মঙ্গলবারই কাবুল থেকে ১৫০ জনকে নিয়ে ফিরেছে বায়ুসেনার বিমান। 


তালিবানের দখলে যাওয়ার পর আফগানিস্তানের পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হতে শুরু করে। দেশজুড়ে অবাধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ শুরু হতেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় ভারতীয় দূতাবাস। বাড়তি সুরক্ষার দিলেও নজর দেওয়া হয় ভারতের তরফে।