কলকাতা: পরপর ২ ম্যাচে আটকে গিয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড।
প্রথমে কলকাতা ফুটবল লিগে (Calcutta Football League) ভবানীপুরের বিরুদ্ধে ড্র করেছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। পরে ডুরান্ড কাপের ম্যাচে বাংলাদেশের আর্মি ফুটবল ক্লাবের বিরুদ্ধে শেষ ৬ মিনিটে ২ গোল হজম করে ড্র করে তারা। অবশেষে বুধবার রেলওয়ে এফসিকে হারিয়ে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাল লাল-হলুদ বাহিনি। বুধবার কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গল ২-০ গোলে হারাল রেলওয়ে এফসি-কে। তার ফলে চাপটা কিছুটা হলেও কমল ইস্টবেঙ্গলের ওপর থেকে।
কার্যত একপেশে ম্যাচে অবশ্য আরও বেশি গোলে জিততে পারত ইস্টবেঙ্গল। গোটা ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের বল পজেশন ছিল ৬৫ শতাংশ। রেলওয়ে ফুটবল ক্লাবের বল পজেশন ছিল মাত্র ৩৫ শতাংশ। গোল লক্ষ্য করে ইস্টবেঙ্গলের শট ২১টি। রেলওয়ের গোলে শট নিয়েছে মোটে চারটি। এই পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায়, কীরকম দাপট দেখিয়েছে লাল-হলুদ বাহিনি। তবু গোলের সুযোগ নষ্টের কিছুটা খেসারত দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। যে কারণে মাত্র দুবার প্রতিপক্ষের গোলমুখ খুলতে পেরেছে তারা।
দুই দলের দু'জন করে খেলোয়াড় হলুদ কার্ড দেখছেন। পাঁচটি কর্নার পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। দুটি কর্নার পেয়েছিল রেল। তিনটি অফসাইড রেলের। একট অফসাইড ইস্টবেঙ্গলের। এদিন খেলার ২০ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের হয়ে গোলটি করেন আমন সিকে। বাঁ দিক থেকে দুরন্ত গতিতে উঠে রেলওয়ে এফসি-র দুই খেলোয়াড়কে পরাস্ত করেন তিনি। রেলওয়ে এফসি গোলকিপার এগিয়ে এসে তাঁকে বাধা দিতে চান। কিন্তু আমন সিকে গোল করে এগিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গলকে। প্রথমার্ধে একাধিক বার আক্রমণ তৈরি করেও গোলসংখ্যা আর বাড়াতে পারেনি লাল-হলুদ ব্রিগেড।
ইস্টবেঙ্গল গোলসংখ্যা বাড়ায় দ্বিতীয়ার্ধে। ৬৪ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল ২-০ করে। গোলটি করেন নিশু কুমার। দর্শনীয় গোল। তন্ময়ের কাছ থেকে বল পেয়ে নিশু কুমার রেলওয়ে এফসি-র এক ডিফেন্ডারকে ফেলে দেন। আগুয়ান গোলকিপারকে পরাস্ত করে নিশু কুমার ২-০ করেন। ৭৩ মিনিটে গোল করার মতো পরিস্থিতি ফের তৈরি করেছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে পারেননি সঞ্জীব ঘোষ। প্রত্যাশা মতোই ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন আমন সিকে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন