কলকাতা: একদিকে এএফসি কাপ। অন্যদিকে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ। তার মাঝেই আবার কলকাতা লিগের (CFL 2023) ডার্বি। বৃহস্পতিবার যে ম্যাচ হওয়ার কথা নৈহাটিতে। কিন্তু সেই ম্যাচে দল না নামানোর সিদ্ধান্ত অনড় মোহনবাগান। যে কারণে বৃহস্পতিবারের কলকাতা লিগের ডার্বি ঘিরে অনিশ্চয়তা তুঙ্গে।


কলকাতা লিগের বহুল চর্চিত ডার্বি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। মোহনবাগানের আবেদনে সাড়া না দিয়ে ৩০ নভেম্বরই কলকাতা লিগের বড় ম্যাচ রাখার সাহসী সিদ্ধান্ত নিল আইএফএ। ডার্বির জন্য লিগ শেষ করতে পারছে না বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থা। একমাত্র ৩০ নভেম্বর তারিখ পাওয়া গিয়েছে। সেই অনুযায়ী দুই ক্লাবকেই চিঠি পাঠিয়েছিল আইএফএ।


সবুজ-মেরুন শিবিরের খবর, মোহনবাগান চাইছে পরে এই ম্যাচ খেলতে। তবে আইএফএ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সব ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে। শেষ মুহূর্তে এ ভাবে ম্যাচের দিন বা কেন্দ্র বদল সম্ভব নয়।


সমস্যা তৈরি হয়েছে মোহনবাগানের সূচি ঘিরে। আগামী সাত দিনে মোহনবাগানের তিনটি ম্যাচ রয়েছে। চলছে এএফসি কাপের ম্যাচও। হঠাৎ বৃহস্পতিবার কলকাতা লিগে ডার্বির মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ দেওয়ায় গত সোমবার আইএফএ-কে চিঠি লিখে মোহনবাগান ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু আইএফএ-র তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, ম্যাচটি বৃহস্পতিবারই হবে। এরপর মোহনবাগানের তরফে আরও একটি চিঠি দিয়ে বলা হয়, আইএফএ এবং ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে বৈঠক করে ম্যাচটি যাতে আরও পরের দিকে করানো যায়। একই সঙ্গে নৈহাটির বদলে যুবভারতীতে ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়।


২৮ ডিসেম্বরের পর কলকাতা লিগের ডার্বি রাখার আবেদন করা হয় মোহনবাগানের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি এই নিয়ে ইস্টবেঙ্গল এবং আইএফএ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার আর্জি জানানো হয়। তবে একটা ম্যাচের জন্য কলকাতা লিগ আরও একমাস ঝুলিয়ে রাখা সম্ভব নয়, জানিয়ে দেন আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত। তাই বাগানের আবেদনে সাড়া না দিয়ে বৃহস্পতিবারই ডার্বি করার সিদ্ধান্তে বহাল আইএফএ।


তবে সেই আবেদনে কোনও সাড়া মেলেনি। বুধবার আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত জানিয়েছেন, ম্যাচ বৃহস্পতিবারই হবে। নৈহাটি স্টেডিয়ামে পুলিশি নিরাপত্তা-সহ সব সরকারি অনুমোদন নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই আর দিন বা মাঠ পরিবর্তন সম্ভব নয়।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: বারুদের বিষগন্ধেও বিশ্বজয়ের বীজ! আফগানিস্তানের স্বপ্ন দেখা শুরু হয় এক ভারতীয়র হাত ধরেই