কলকাতা: জয়ের সংখ্যা বাড়াতে না পারলে যে প্লে অফে পৌঁছতে পারবে না তাঁর দল, তা আগেও একাধিকবার বলেছেন ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত। শনিবার নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচের আগে তিনি এ বার গোলর সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজনিয়তার কথাও বলছেন। জানুয়ারির দলবদলে যে সে জন্যই নয়া দুই বিদেশী ফুটবলারকে নিয়ে এসেছেন, তাও জানিয়ে দিলেন তিনি।
ডার্বিতে ড্রয়ের পর কিছুটা হলেও অসন্তুষ্ট হয়েছেন কুয়াদ্রাত। সে দিন ম্যাচের পরই বলেন, ডার্বিতে তাদের তিন পয়েন্ট পাওয়া উচিত ছিল। ফের সেই প্রসঙ্গই টেনে এনে গুয়াহাটির ম্যাচের প্রাক সাংবাদিক বৈঠকে স্প্যানিশ কোচ বলেন, “প্লে অফে পৌঁছতে গেলে আমাদের আরও জয় প্রয়োজন। আমরা বরাবরই সেই লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামি। বরাবরই তিন পয়েন্টের জন্য লড়াই করেছি। এখন পর্যন্ত মাত্র দুটো জয় পেয়েছি। গত ম্যাচেও আমাদের তিন পয়েন্ট পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অন্যের ভুলের জন্য তা পাইনি। অর্থাৎ, দু’পয়েন্ট খোয়াতে হয়েছে আমাদের। শুধু ড্র করলে চলবে না। আমাদের জয় দরকার। গত চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই আমাদের তিন পয়েন্ট পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না পাওয়ার জন্য আমরা দায়ী নই”।
গোলশূন্য ড্র দিয়ে এ বারের আইএসএল শুরুর পর তারা দ্বিতীয় ম্যাচে জেতে। কিন্তু পরের চারটি ম্যাচের মধ্যে টানা তিনটিতে হারে ও চতুর্থটিতে ড্র করে। নর্থইস্টের বিরুদ্ধেই পাঁচ গোলে জিতে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। তার পরের চার ম্যাচে আবার জয়হীন। এ ভাবেই ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগছে তারা।
এই প্রসঙ্গে কুয়াদ্রাত বলেন, “প্লে অফের লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য আমরা অনেক কিছু করছি। অনেক চেষ্টা করছি। প্রতি গেমেই জেতার সুযোগ পেয়েছি আমরা। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আরও বেশি পয়েন্ট পাওয়া উচিত ছিল আমাদের। কিন্তু পাইনি, কখনও নিজেদের ভুলে, কখনও অন্যের ভুলে”।
সে জন্য অবশ্য নিজের পরিকল্পনা বদলাতে চান না কোচ। বলেন, “আমরা আমাদের পরিকল্পনা বজায় রাখব। আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে হবে আমাদের। এ পর্যন্ত ২২টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র চারটিতে হেরেছি আমরা। কারণ. আমাদের দল শক্তিশালী। কিন্তু আক্রমণে আমরা কিছুটা দুর্বল হয়ে আছি। যথেষ্ট পরিমানে গোল পাইনি আমরা। ফারাকটা এই জন্যই তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাই ম্যাচের শেষ দিকে আমাদের এক গোলের ব্যবধান নয়, দু-তিন গোলের ব্যবধান তৈরির চেষ্টা করতে হবে”।
দলকে যে আইএসএলের নক আউটের কঠিন লড়াইয়ের উপযোগী করে তুলতে চান, তা অকপটে জানিয়ে কুয়াদ্রাত বলেন, “আমরা এমন একটা দল গড়ার চেষ্টা করছি, যারা আইএসএলের উচ্চ পর্যায়ে খেলার যোগ্য হয়ে উঠতে পারে। আমরা এখন পর্যন্ত দু’টো ফাইনালে উঠেছি এবং দেখাতে পেরেছি যে, মোহনবাগান এসজি, মুম্বই সিটি এফসি ও ওডিশা এফসি-র মতো চ্যাম্পিয়ন টিমগুলোকেও আমাদের দল সমস্যায় ফেলতে পারে”। তথ্য সংগ্রহ: আইএসএল