ক্রিকেটের ইতিহাসে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের অভাব নেই। গত শনিবার বিশ্বকাপে ওল্ড ট্রাফোর্ডে নিউজিল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচও ছিল উত্তেজনায় ঠাসা। শেষ না হওযা পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছিল না, ম্যাচের পাল্লা কার দিকে ঝুঁকছে। নবম উইকেট হারানোর পর ক্যারিবিয়ানদের জয়ের জন্য তখনও প্রয়োজন ছিল ৪৭ রানের। প্রায় একটা অসম্ভবকে সম্ভব করেই ফেলেছিলেন কার্লোস ব্রেথওয়েট। জয়ের জন্য ২৯২ রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় ১৬৭ রানে সাত উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু হার মানেননি ব্রেথওয়েট। তাঁর ৮২ বলে ১০১ রান দলকে জয়ের দোরগড়ায় পৌঁছে দিয়েছিল।
গত ৩৭ টি ম্যাচে এর আগে একটি মাত্র হাফসেঞ্চুরি ছিল তাঁর। কিন্তু কিউইদের বিরুদ্ধে তাঁর চোয়ালচাপা লড়াই স্মরণীয় হয়ে থাকবে। শেষ ওভারে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়ের জন্য ছয় রান দরকার। হাতে মাত্র এক উইকেট। ব্রেথওয়েট বল তুলে মারলেন। ওই বল বাউন্ডারি পেরোলেই চলতি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড প্রথমবার হারের মুখ দেখত। কিন্তু জিমি নিশামের ওভারের শেষ বলে লং অন বাউন্ডারিতে দু্দান্ত ক্যাচ ধরলনে ট্রেন্ট বোল্ট। পাঁচ রানে জয়ী হয় নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের সেমিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পৌঁছনোর সম্ভাবনা এই হারের ফরে কার্যত শেষ হয়ে যায়।
২০১৬-র টি ২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইডেন গার্ডেনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে বেন স্টোকসের পর পর চার বলে ওভারবাউন্ডারি মেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন ব্রেথওয়েট।
হোল্ডার বলেছেন, ব্রেথওয়েটের ওয়ার্ক এথিক খুব ভালো। কোনও দায়িত্ব পালনে পিছুপা হয় না। প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রেও ও সব ধরনের চেষ্টা করে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওর ইনিংস আমাকে আদৌ বিস্মিত করেনি। এরকম ইনিংস ভবিষ্যতে মাঝেমধ্যেই ওর ব্যাট থেকে দেখতে চাই। পুরো দলই এমনটা চায়।
দুরন্ত লড়াই করেও দলকে জেতাতে না পেরে হতাশ ব্রেথওয়েট। একইসঙ্গে এ ধরনের ইনিংস খেলতে পেরে তিনি খুশি বলে জানিয়েছেন ব্রেথওয়েট। তিনি বলেছেন, দলকে জেতাতে না পেরে আমি বিধ্বস্ত। কিন্তু এই পারফরম্যান্সের জন্য ভালোও লাগছে।
শেষ উইকেটে ওশেন থমাসকে নিয়ে ৪১ রান যোগ করেন ব্রেথওয়েট।