লন্ডন: চাপের মুখে সরফরাজ আহমেদের অধিনায়কোচিত ইনিংস ও মহম্মদ আমিরের যোগ্য সঙ্গের দৌলতে শ্রীলঙ্কাকে তিন উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল পাকিস্তান।
সোমবার কার্ডিফের গ্রুপ-বি ম্যাচে, দু-দলের কাছেই ছিল এটি মরণ-বাঁচন ম্যাচ। কারণ, এদিন যেই জিতবে তারাই সেমিফাইনালের টিকিট পাবে। আর বিজিতরা বিমানের টিকিট। অর্থাৎ, দুই এশীয় দলের কাছে এদিনের ম্যাচ ছিল কার্যত কোয়ার্টার ফাইনাল। এদিন শ্রীলঙ্কার রাখা ২৩৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করে পাক দল। দুই ওপেনার আজহার আলি ও ফকর জামান প্রথম উইকেটে ৭৪ রান তোলেন।


[embed]https://twitter.com/ICC/status/874318508519194628[/embed]

ফকর ৫০ রানে আউট হয়ে ফেরেন। এরপরই ধস নামে পাক ইনিংসে। নিয়মিত ব্যবাধানে উইকেট পড়তে থাকে পাকিস্তানের। ৯২ রানে দ্বিতীয় (বাবর আজম), ৯৫ রানে তৃতীয় (মহম্মদ হাফিজ), ১১০ রানে চতুর্থ, ১৩১ রানে পঞ্চম (শোয়েব মালিক) ও ১৩৭ রানে ষষ্ঠ (ইমাদ ওয়াসিম) উইকেটের পতন হয়। ১৬২ রানে পতন হয় সপ্তম উইকেটের (ইমাদ ওয়াসিম)।
কিন্তু, মহম্মদ আমিরকে নিয়ে পাল্টা লড়াই দেন অধিনায়ক সরফরাজ। অষ্টম উইকেটে এই দুই ব্যাটসম্যান ৭৫ রান যোগ করে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। খেলার শেষে ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন সরফরাজ। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন আমির। তিনি অপরাজিত থাকেন ২৮ রানে। সরফরাজের পাশাপাশি, তাঁর লড়াইও সমান গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
তবে, এদিন পাকিস্তানের জয়ের পেছনে সাহায্য করেছে শ্রীলঙ্কার হতশ্রী ফিল্ডিং। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে মালিঙ্গার বলে সরফরাজের একেবারে ললিপপ ক্যাচ ফস্কায় লঙ্কান-রা। পরের ওভারেও পাক অধিনায়কের আরও একটি ক্যাচ ফস্কায় শ্রীলঙ্কা। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ভুল করেনি পাকিস্তান। ম্যাচের সেনা নির্বাচিত হন সরফরাজ আহমেদ।


[embed]https://twitter.com/ICC/status/874322299004104704[/embed]

এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। মহম্মদ আমির ও জুনেদ খানদের দাপটে ব্যাটিং বিপর্যয় লঙ্কা ব্রিগেডের। ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। গুণতিলকেকে আউট করেন জুনেদ খান। এরপর মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ডিকওয়ালে।
কিন্তু ৮২ রানের মাথায় আঘাত হানেন মেন্ডিসকে ফিরিয়ে আঘাত হানেন হাসান আলি। মেন্ডিস করেন ২৭ রান। দলের স্কোরে আর মাত্র ১ রান যোগ হওয়ার পরই চন্ডীমলকে ফিরিয়ে দেন ফাহিম আসরফ। চন্ডীমল কোনও রান করতে পারেননি। এই জোড়া থাকা সামলে ইনিংস মেরামতির কাজ শুরু করেন ডিকেওয়ালা ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ।


দুজনের মধ্যে চতুর্থ উইকেটে ৭৮ রান যোগ হওয়ার পর শ্রীলঙ্কা শিবিরে ধাক্কা দেন আমির। তাঁর বলে আউট হয়ে যান ম্যাথিউজ (৩৯)। শ্রীলঙ্কার রান তখন ১৬১। এরপর জুনেদের বলে আউট হন ডি সিলভা (১)। ১ রানের ব্যবধানে পঞ্চম উইকেটের পতন হয় শ্রীলঙ্কার।
১৬২-তেই আমিরের বলে আউট হন ডিকওয়ালে (৭৩)। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। চার বল বাকি থাকতেই ২৩৬ রানে অল আউট হয়ে যায় তারা।


[embed]https://twitter.com/ICC/status/874318874619117568[/embed]

এই ম্যাচ জিতে গ্রুপ-বি থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে পৌঁছল পাকিস্তান। শেষ চারে তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ-এ শীর্ষ স্থানাধিকারী দল ইংল্যান্ড। অন্য সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ।