এজবাস্টন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে স্বপ্নের লড়াই। মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। আজ এজবাস্টনে বাংলাদেশকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেল ভারত। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ফের জ্বলে উঠলেন রোহিত শর্মা (১২৩ অপরাজিত)। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে তিনি শতরান করলেন। ছক্কা মেরে শতরান করেন রোহিত। তিনিই ম্যাচের সেরা। ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলিও (৯৬ অপরাজিত) অসাধারণ ব্যাটিং করলেন। তিনি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৮,০০ রান পূর্ণ করলেন। ২৬৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৪০.১ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নিল ভারত। দারুণ শুরু করেও অর্ধশতরান হাতছাড়া করেন শিখর ধবন। তিনি ৪৬ রান করে মাশরাফি মোর্তাজার বলে মোসাদ্দেকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। তবে রোহিত ও বিরাটের দাপটে ভারতের রান তাড়া করতে কোনও সমস্যা হয়নি।


এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৬৪ রান করে বাংলাদেশ। বড় রান করলেন তামিম ইকবাল (৭০) ও মুশফিকুর রহিম (৬১)। এছাড়া কেউ বড় রান করতে পারেননি। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার, যশপ্রীত বুমরাহ ও কেদার যাদব। একটি উইকেট নেন রবীন্দ্র জাডেজা। ভারতের যা ব্যাটিং লাইনআপ, তাতে এই রান তোলা কঠিন ছিল না। সেটা হয়ওনি। সহজ জয়ই পেল ভারত।

আজ টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই ভুবনেশ্বর কুমার তুলে নেন সৌম্য সরকারকে (০)। বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে তখন রান মাত্র এক। এরপর তামিম ও সাব্বির রহমান লড়াই করার চেষ্টা করেন। তবে সাব্বিরও (১৯) ফিরে যান ভুবনেশ্বরের বলে। এরপর তামিম ও মুশফিকুর লড়াই চালান। এই জুটি ভেঙে যাওয়ার পরেই আর কোনও জুটি উইকেটে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি।

শুরুতে উইকেট হারালেও, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের লড়াইয়ের সুবাদে ভারতের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। দু জনেই অর্ধশতরান করেন। তামিম ৭০ রান করে কেদার যাদবের বলে বোল্ড হয়ে যান। মুশফিকুরকেও ফেরান কেদার। এরপরেই দিশা হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।



তামিম আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ফিরে যান শাকিব আল হাসান (১৫) এবং মুশফিকুরও। মোসাদ্দেক হোসেনও ১৫ রান করে যশপ্রীত বুমরাহর বলে তাঁরই হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন। মাহমুদুল্লাহ করেন ২১ রান। অধিনায়ক মাশরাফি মোর্তাজা ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। একটা সময় বাংলাদেশ বড় রানের স্বপ্ন দেখলেও, শেষপর্যন্ত সেটা আর হল না। জয়ও অধরাই থেকে গেল বাংলাদেশের।