রাঁচি: দেখতে দেখতে ১৪ বছর কেটে গেল। ১৯ ডিসেম্বর দিনটি এখনও ভোলেননি সাক্ষী সিংহ ধোনি। সেদিন এমন একটা কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি, যা দেখে সতীর্থরাও বাকরূদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।


কী এমন করেছিলেন সাক্ষী?


চিনতে পারেননি স্বয়ং মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। এমনকী, নাম শোনার পরেও। সাক্ষী জানতেনই না যে, ধোনি জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা। জানবেনই বা কী করে? ক্রিকেটে যে তাঁর এতটুকু আগ্রহ ছিল না।


১৪ বছর আগের ঘটনা। সালটা ২০০৭। ধোনি এসেছেন কলকাতায়। একটি অভিজাত হোটেলে আছেন। সেখানেই তাঁকে প্রথম দেখেন সাক্ষী। যিনি তখন হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়তে পড়তে সেই হোটেলে ইন্টার্নশিপ করছেন। পরের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছিল ধোনির বায়োপিকে। দেখানো হয়েছিল, ধোনি নিজের ঘরের চাবি ভুলে এসেছেন। রিশেপশনে গিয়ে সাক্ষীর সাহায্য চান। ডুপ্লিকেট চাবির জন্য। সাক্ষী তাঁকে চিনতে না পেরে সচিত্র পরিচয়পত্র দেখতে চান। ধোনি তাঁর কর্তব্যপরায়ণতা দেখে মুগ্ধ হয়ে যান। গোটা ঘটনায় মজাও পান। সিনেমায় দেখানো হয়, তিনি সাক্ষীর কাছে অটোগ্রাফ চাইছেন। কারণ, এরকম কর্মনিষ্ঠ মানুষ বড় একটা দেখা যায়নি।


রবিবার ছিল সেই ১৯ ডিসেম্বর। সাক্ষীর মনে সেদিনের স্মৃতি এতই টাটকা যে, তিনি ধোনির সঙ্গে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সঙ্গে লেখেন, 'একে অপরকে প্রথম দেখার ১৪ বছর পূর্তিতে উল্লাস। ডিসেম্বর, জব উই মেট'।



প্রায় তিন বছরের প্রেম পর্বের পর ২০১০ সালের ৪ জুলাই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ধোনি ও সাক্ষী।


আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন অনেক দিন আগেই। তবুও এখনও ভীষণভাবে জনপ্রিয় ধোনি। সম্প্রতি বিমানবন্দরে একসঙ্গে দেখা যায় ধোনি ও সাক্ষীকে। সঙ্গে ছিল তাঁদের কন্যা জিভা ধোনিও। ক্যামেরাবন্দি হয় তাঁদের ছবি। আসলে, সাক্ষী ধোনি যে সন্তানসম্ভবনা সে খবর শিরোনামে এসেছিল কিছুদিন আগেই। এমন পরিস্থিতিতে ধোনির ভক্তদের কাছে এই ছবিগুলোই বিশেষ স্পেশাল। মাহি বা সাক্ষীর কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত গর্ভধারণের বিষয়ে কিছুই নিশ্চিত করা হয়নি। তবে, সাক্ষীর পার্স এভাবে বহন করার স্টাইল দেখে ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে তিনি তাঁর বেবি বাম্প লুকানোর চেষ্টা করছেন।