হেডিংলে: অ্য়াশেজের তৃতীয় টেস্টে জয় ছিনিয়ে নিল ইংল্যান্ড। হেডিংলে টেস্টে ৩ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল। আজকের খেলা শুরুর আগে আরও ২২৪ রান দরকার ছিল। হ্যারি ব্রুকের অর্ধশতরানের ওপর নির্ভর করে জয় ছিনিয়ে নেয় ইংল্যান্ড বাহিনী। এদিন ১০ উইকেট দরকার ছিল অজি বাহিনীর। লাঞ্চের বিরতির পর স্টোকসের উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। তবে তাতেও জয় আটকানো যায়নি। হ্যারি ব্রুককে যোগ্য় সঙ্গ দেন ক্রিস ওকস। তিনি ৩২ রানের ইনিংস খেলেন। হ্যারি ব্রুককে ফেরানোর পরে মার্ক উডকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন ওকস।
রান তাড়া করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের ২ ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট অপরাজিত ছিলেন। চতুর্থ দিনের শুরুতেই ব্যক্তিগত ২৩ রানের মাথায় লেগবিফোর হয়ে ফিরে যান ডাকেট। মিচেল স্টার্কের বলে আউট হন ডাকেট। রুটের বদলে তিন নম্বরে নামেন মঈন আলি। কিন্তু ব্যক্তিগত ৫ রানের মাথায় তিনি ফিরে যান স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে। ক্রলির সঙ্গে রুট জুটি বাঁধেন। তবে মিচেল মার্শের বলে ৪৪ রানের মাথায় অ্যালেক্স ক্যারির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ক্রলি। বেন স্টোকস ১৩ রানের মাথায় স্টার্কের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন। ২১ রান করে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির ঠিক আগে কামিন্সের বলে আউট হন রুট। জনি বেয়ারস্টো ৫ রান করে ফেরেন।
দ্বিতীয় দিনের শেষবেলায় মঈন আলির দৌরাত্ম্যে মাত্র ১১৬ রানেই চার উইকেট ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই অবস্থা থেকে অজিদের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল প্রথম ইনিংসে শতরানকারী মিচেল মার্শ ও ট্র্যাভিস হেডের (Travis Head) কাঁধে। অজি তারকাজুটি দেখেশুনে দিনের শুরুটা করেছিলেন। তবে ক্রিস ওকস (Chris Woakes) মিচেল মার্শকে সাজঘরে ফেরাতেই অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ধস শুরু হয়। ওকস নিরন্তর ভাল লাইন, লেংথে বল করে চাপ তৈরি করেন এবং তার সুফলও পান। ২৮ রানে সাজঘরে ফেরেন মার্শ।
এরপর গোটা অস্ট্রেলিয়ান লোয়ার মিডল অর্ডারের কেউই তেমন বড় রান করতে পারেননি। অ্যালেক্স ক্যারি মাত্র পাঁচ রানে সাজঘরে ফেরেন। মিচেল স্টার্ক করেন ১৬ রান। অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স স্কোরবোর্ডে মাত্র এক রান যোগ করেন। স্টার্ক ও কামিন্স, উভয়কেই উড আউট করেন। অপরপ্রান্তে পরপর উইকেট হারাতে দেখে হেড নিজের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ড বোলারদের পাল্টা চাপে ফেলার চেষ্টা করেন। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ভর করেই নিজের টেস্ট কেরিয়ারের ১৬তম অর্ধশতরান পূরণ করেন।
টড মার্ফি খানিকটা সময় হেডকে সঙ্গ দেন। নবম উইকেটে মার্ফি ও হেড ৪১ রান যোগ করেন। তবে স্টুয়ার্ট ব্রড ১১ রানের মাথায় মার্ফিকে ফেরান। শেষ ব্যাটার হিসাবে ৭৭ রানে আউট হন হেড। ২২৪ রানে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। ইংল্যান্ডকে ম্যাচ জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল ২৫১ রানের।