ম্যাঞ্চেস্টার: ক্লাব ফুটবলের দলবদলের ইতিহাসে আরেক নাটকীয় মুহূর্ত হাজির হল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর হাত ধরে। তিনি যে য়ুভেন্তাসে থাকবেন না, ক্লাব পাল্টাতে চান, সেই ইঙ্গিত আগে থেকেই ছিল। তাঁর এজেন্টের সঙ্গে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির কথাবার্তাও অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে যে শেষ মুহূর্তে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রত্যাবর্তন ঘটাবেন সিআরসেভেন, সেই ইঙ্গিত ঘুণাক্ষরেও ছিল না।


ঘরে ফিরলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। আগামী মরসুমে ফের ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে তাঁকে।


য়ুভেন্তাসে তাঁর শেষ দিনের অনুশীলনে মাত্র ৪০ মিনিটের জন্য ছিলেন রোনাল্ডো। ৪০ মিনিট থাকলেও অনুশীলন করেননি রোনাল্ডো। তার পরেই বেরিয়ে যান। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি ক্লাব ছাড়তে চলেছেন বলে আগাম জানিয়ে রেখেছিলেন ইতালির নামী সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিয়ো রোমানো। জানা গিয়েছিল, রোনাল্ডো অপেক্ষা করছেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির থেকে সরকারি ভাবে চুক্তি হাতে পাওয়ার। কারণ শেষ পর্যন্ত পুরোটাই মৌখিক ভাবে হয়েছিল। রোনাল্ডোর এজেন্ট জর্জ মেন্দেজের সঙ্গে কথা হয়েছিল ম্যান সিটির। রোমানো দাবি করেছিলেন, ম্যাঞ্চেস্টার সিটির কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে রোনাল্ডোর। জানা গিয়েছিল, ৩১ অগাস্ট ট্রান্সফার উইন্ডো বন্ধ হওয়ার আগেই নতুন দলে সই করতে চলেছেন পর্তুগিজ তারকা।


কিন্তু কীভাবে শেষ মুহূর্তে বদলে গেল সেই সমীকরণ? রোমানোর দাবি, শেষ মুহূর্তে রোনাল্ডোর এজেন্ট জর্জ মেন্দেজের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে ম্যান সিটি। একসময় যে ক্লাবে দীর্ঘদিন খেলেছেন রোনাল্ডো। আর ম্যান সিটি পুরো বিষয়টিই নাকি রোনাল্ডোর ওপরই ছেড়ে দিয়েছিল। রোমানোর দাবি, ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত ম্যান ইউয়ের সঙ্গে চুক্তি হতে পারে সিআরসেভেনের।


শোনা যাচ্ছিল, লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ছেড়ে প্যারিস সাঁ জারমাঁ-তে যোগ দেওয়ার পরই ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন রোনাল্ডো। মেসিকে ঘিরে ফ্রান্সে গণউন্মাদনা দেখেই নাকি য়ুভেন্তাস ছাড়ার ব্যাপারে মনস্থির করে ফেলেন তিনি।