কলকাতা: শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব মোহনবাগান (Mohunbagan Club)  নির্বাচনের মনোনয়ন ঘিরে ধুন্ধুমার (Clash)। রণক্ষেত্র হয়ে উঠল মোহনবাগান ক্লাব চত্বর। মোহনবাগান ক্লাবের বাইরে ব্যাট-উইকেট নিয়ে চলল ব্যাপক মারামারি। পুরো ঘটনায় চলে বেশ কিছু সময় ধরে। ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে সেই উন্মত্ত মারামারির ঘটনা। মোহনবাগানে নির্বাচনের মনোনয়ন শেষ দিনে এই সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়েছেন বলে খবর। আহতরা রক্তাক্ত হয়ে পড়েন। প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিত্‍ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনাস্থলে রয়েছে ময়দান থানার পুলিশ।


এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মোহনবাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্লাবের বাইরের ঘটনা, কারা করেছে বলতে পারব না।


আজ মোহনবাগানে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। বিকেল পাঁচটা ছিল মনোনয়ন জমার সময়সীমা।  এদিন দুপুর থেকে ক্লাবের বাইরে ভিড় জমতে শুরু করে। তারপরই হৈহট্টগোলের আওয়াজ শোনা যায়। এক পক্ষ, আর এক পক্ষর ওপর ব্যাট, উইকেট হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে।কারুর কারুর মাথায়ও আঘাত লেগেছে বলে খবর। এই সংঘর্ষে রক্ত পর্যন্ত ঝরে। ব্যাট-উইকেট হাতে রীতিমতো দাপাদাপি চলে। এরইমধ্যে সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। মোহনবাগান ক্লাব কর্তৃপক্ষ বলেছেন, এই সংঘর্ষের সঙ্গে ক্লাবের নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। ক্লাবের বাইরে ঘটনা ঘটেছে। কাদের মধ্যে মারপিঠ হয়েছে জানা নেই। 


ক্লাব কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।  জানা গেছে, ক্লাবে ভোট চলা সত্ত্বেও কেন পুলিশকে অবগত করা হয়নি সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে থানা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে 


উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই আইএমএ কলকাতা শাখার নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। সকাল ১১টা থেকে তালতলায় আইএমএ-র কলকাতা শাখা অফিসে শুরু হয় ভোটদান। আইএমএ-র সভাপতি পদের জন্য লড়াইয়ে ছিলেন চিকিত্সক-বিধায়ক নির্মল মাঝি ও আরেক চিকিত্সক প্রশান্ত ভট্টাচার্য। ভোটপর্ব শুরুর আগে থেকেই ভোটকেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন দু’ পক্ষের সমর্থকরা। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। আইএমএ-র কলকাতা শাখার অফিসের সামনে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী।