নয়াদিল্লি: কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা কমিটির বিরুদ্ধে ওঠা স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ খারিজ করল বোর্ডের প্রশাসকদের কমিটি (সিওএ)। ভারতীয় দলের পরবর্তী কোচ নির্বাচনের দায়িত্বও দেওয়া হল কপিল-অংশুমান গায়কোয়াড় ও শান্তা রঙ্গস্বামীর তিন সদস্যের উপদেষ্টা কমিটিকে।


কোচ বেছে নেওয়ার দায়িত্ব কি উপদেষ্টা কমিটির হাতে দেওয়া হয়েছে? সিওএ প্রধান বিনোদ রাই বলেছেন, 'আমরা খতিয়ে দেখেছি। সব ঠিক আছে। অল ক্লিয়ার।'

যদিও সিওএ-র অন্যতম সদস্য ডায়ানা এডুলজি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে জোরাল প্রশ্ন তুলেছেন। এথিক্স অফিসারের কাছে না পাঠিয়ে কীভাবে সিওএ উপদেষ্টা কমিটির বিরুদ্ধে ওঠা স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ খারিজ করে দিল, তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। এডুলজি সংবাদসংস্থাকে বলেন, 'ভোটাভুটিতে আমি ২-১ ভোটে হেরে যাই। আমি বলেছিলাম স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ এথিক্স অফিসার ডি কে জৈনের কাছে পাঠানো উচিত। বোর্ডের গঠনতন্ত্রে অ্যাড-হক কমিটির কথা উল্লেখ নেই। আমি আপত্তি জানিয়েছিলাম। কারও স্বার্থ সংঘাত আছে কি না দেখাটা সিওএ-র এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। এথিক্স অফিসারের দেখা উচিত। অ্যাড হক কমিটি কোচ বাছতে পারে না। আমি আমার আগের অবস্থানে অনড়।' প্রসঙ্গত, এর আগে ডব্লিউ ভি রামনকে মহিলা দলের কোচ বেছে নিয়েছিল কপিলদের কমিটি। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন এডুলজি।

বিশ্বকাপের পরই বিরাট কোহলিদের প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী, ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার, বোলিং কোচ ভরত অরুণ ও ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য আপাতত সেই চুক্তির মেয়াদ ৪৫ দিন বাড়ানো হয়েছে। তারপরই বেছে নেওয়া হবে নতুন কোচ। যদিও শাস্ত্রীরই থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অধিনায়ক কোহলিও শাস্ত্রীকে কোচ হিসাবে চেয়ে জোরাল সওয়াল করেছেন।

সোমবার নয়াদিল্লিতে সিওএ-র বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়। ২২ অক্টোবর বোর্ডের নির্বাচন করার ব্যাপারে আশাবাদী সিওএ। রাই জানিয়েছেন, ২৬টি রাজ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই লোঢার সমস্ত সুপারিশ মেনে নিয়েছে। তারা নির্বাচনী অফিসারও নিয়োগ করেছে। রাই আরও বলছেন, 'কোচ নিয়ে সিএসি (উপদেষ্টা কমিটি)-র সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।  অগাস্টের মাঝামাঝি প্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়া হবে।'