নয়াদিল্লি: অনেক জলঘোলার পর অবশেষে ভারতের জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের কোচ হিসাবে ডব্লিউ ভি রামনের নিয়োগ প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখার জন্য বোর্ডের অম্বাডসম্যান তথা এথিক্স অফিসার ডি কে জৈনকে দায়িত্ব দিল প্রশাসকদের কমিটি (সিওএ)।


গত এপ্রিলেই ঠিক হয়েছিল যে, রামনের নিয়োগ প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখা হবে। তবে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি জৈনকে দায়িত্ব দিয়ে চিঠি পাঠানো হয় দুদিন আগে। গত বছরের ডিসেম্বরে কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের অ্যাড হক কমিটি রামনকে হরমনপ্রীত কৌরদের কোচ নিয়োগ করেছিল। কপিলের সেই কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন অংশুমান গায়কোয়াড় ও শান্তা রঙ্গস্বামী। সেই সময় প্রশাসকদের কমিটিতে দুজন সদস্য ছিলেন এবং সেই দুজন - বিনোদ রাই এবং ডায়ানা এডুলজি রামনের নিয়োগ নিয়ে সম্পূর্ণ দুই মেরুতে ছিলেন।

এডুলজি কোচ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে অসাংবিধানিক বলে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। তিনি এ-ও বলেছিলেন যে, কোচ নির্বাচনের দায়িত্ব সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও ভিভিএস লক্ষ্মণের উপদেষ্টা কমিটির। প্রশাসকদের কমিটিতে পরে রবি থোড়গে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় আপাতত সিওএ তিন সদস্যের হয়েছে।

ঘটনা হচ্ছে, সচিন-সৌরভদের উপদেষ্টা কমিটির অস্তিত্বই এখন প্রশ্নের মুখে। বিরাট কোহলিদের পরবর্তী কোচও ঠিক করার দায়িত্ব পেতে পারে কপিল দেবদের অ্যাড হক কমিটির। যদিও এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চেয়েছে সিওএ। সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দিলে তবেই সচিন-সৌরভদের কমিটি বিরাটদের কোচ নির্বাচনের দায়িত্ব পেতে পারে।

এক বোর্ড কর্তা সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, ‘অ্যাড হক কমিটি পুরুষ দলের কোচ বাছলে ফের সমস্যা হতে পারে। যেমন রামনের ক্ষেত্রে হল। সৌরভ ও লক্ষ্মণের স্বার্থের সংঘাত নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কী বলে সেটা দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। কারণ, অ্যাড হক কমিটি কোচ বাছলেও স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্ন উঠতে পারে। যেহেতু কপিল ও শান্তা দুজনই ক্রিকেটারদের সংগঠন তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত।’