অনিল কুম্বলের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পরবর্তী কোচ হওয়ার জন্য আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছিল। বীরেন্দ্র সহবাগ, টম মুডিরা আবেদনপত্র জমাও দিয়েছেন। তবে এখনও কাউকে পরবর্তী কোচ নিযুক্ত করা হয়নি। কুম্বলে কোচের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর নতুন করে কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে বিসিসিআই। সেই কারণেই আরও আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছে।
বিসিসিআই-এর অন্য এক আধিকারিক বলেছেন, ‘আমার যখন এর আগে আবেদনপত্র চেয়েছিলাম, কুম্বলের নাম স্বাভাবিকভাবেই ছিল। সেই সময় হয়তো অনেকেই ভেবেছিলেন, বর্তমান কোচ যখন সাফল্য পাচ্ছে তখন আর আবেদন করার দরকার কী! কিন্তু এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। অনেকেই এখন আবেদন করতে চাইবেন। সেই কারণেই নতুন করে আবেদনপত্র চাওয়া হচ্ছে।’
ক্রিকেট মহলে জল্পনা চলছিল, নতুন কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে সহবাগ। তবে বিসিসিআই-এর ওই কর্তা বলেছেন, ক্রিকেট অ্যাডভাইজারি কমিটিই কোচের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তাই সহবাগের আবেদনের সঙ্গে বিসিসিআই-এর কোনও সম্পর্ক নেই। সহবাগ, মুডি ছাড়াও আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন লালচাঁদ রাজপুত, ডোডা গণেশ, রিচার্ড পাইবাস। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন বোলিং কোচ ক্রেগ ম্যাকডারমটও আবেদনপত্র পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তিনি আবেদন না করায় আবেদনপত্রটি বাতিল করা হয়েছে।
কুম্বলের সঙ্গে বিরাটের বিরোধ সম্পর্কে শুক্ল বলেছেন, ‘এই সমস্যা মেটানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করেছিল বিসিসিআই। কার্যকরী সচিব, সিইও, কুম্বলে ও কোহলির সঙ্গে আলোচনা করেছিল। সিওএ চেয়ারম্যান বিনোদ রাইয়ের সঙ্গেও আলোচনা করেছিল বোর্ড। কিন্তু কোনও সমাধান মেলেনি। কুম্বলে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিসিসিআই তাঁকে ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। অধিনায়ককেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, এই ধারণা ভুল। সবাইকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে কখনও কখনও মতপার্থক্য দেখা দেয়।’