ভুবনেশ্বর: মরশুমের শুরুতে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠেও হেরে গিয়েছিলেন চিরপ্রতিদ্বন্দী মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে। সে জন্য অনেক কথা, কটূ মন্তব্যও শুনতে হয়েছে তাঁকে ও তাঁর দলের ফুটবলারদের। ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত তাই এই সুযোগটা হাতছাড়া করতে চান না। রবিবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ সুপার কাপের ফাইনালে ট্রফি জেতার জন্য দলের ফুটবলাররা প্রত্যেকে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিক, এমনটাই চান তিনি।



অন্য দিকে, ওডিশা এফসি-র চাপটা আবার দ্বিগুন। একেই তারা গতবারের চ্যাম্পিয়ন। সেই খেতাব ধরে রাখার প্রত্যাশার চাপ তো আছেই। তার ওপর খেতাব বজায় রাখার লড়াইটা তাদের লড়তে হবে ঘরের মাঠে, নিজেদের সমর্থকদের চোখের সামনেই। যদিও এটা যেমন চাপ, তেমন একটা সুবিধাও। কঠিন লড়াইয়ে জেতার জন্য অন্তত হাজার দশেক সমর্থককে পাশে পাবেন। তবে এ সব নিয়ে বেশি না ভেবে তিনি দলের ছেলেদের সুপার কাপের ফাইনাল ম্যাচটা উপভোগের পরামর্শ দিয়েছেন।

ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বে চিরপ্রতিদ্বন্দী মোহনবাগানকে হারালেও ফাইনালে তাদের হারাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। ফলে ট্রফি জয়ের আনন্দে মেতে উঠেছিল সবুজ-মেরুন বাহিনীই। এ বারও মোহনবাগানকে হারিয়েই সুপার কাপের ফাইনালে উঠেছিল তারা। যদিও ফাইনালে সামনে মোহনবাগান নয়, এই মুহূর্তে প্রতিপক্ষ হিসেবে তাদের চেয়েও কঠিন ওডিশা এফসি। কিন্তু লাল-হলুদ কোচ কার্লস কুয়াদ্রাতের বিশ্বাস, নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে এই ম্যাচও জিততে পারবেন তাঁরা। যেমন গত ন’টি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতেই জিতেছেন।

ফাইনালের আগের দিন সাংবাদিকদের কুয়াদ্রাত বলেন, “মরশুমের দ্বিতীয় ফাইনালে ওঠাটা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডুরান্ড কাপে প্রথম ফাইনালে জিততে পারিনি। তাই এই ফাইনালে জেতার জন্য নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করব। আমরা খুব ভাল জায়গায় আছি। অনেক দিন ধরেই ভাল ফলের জন্য লড়ছি আমরা”।

নিজেরা যেমন টানা ন’টি ম্যাচে অপরাজিত থেকে সুপার কাপের ফাইনালে খেলতে নামছেন, প্রতিপক্ষ ওডিশা এফসি-র ধারাবাহিকতা আরও বেশি। তাই তাদেরও যথেষ্ট সমীহ করছেন কুয়াদ্রাত। বলেন, “দুই ফাইনালিস্টই খুব ভাল ছন্দে রয়েছে। আমরা যেমন ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলে আসছি, ওডিশাও অনেক দিন ধরে অপরাজিত রয়েছে। তবে একটা দলকে তো হারতেই হবে। দুর্ভাগ্যবশত, এই ম্যাচে যে কোনও এক পক্ষের ছন্দপতন হবেই। আমাদের কাছে খুব কঠিন ম্যাচ এটা। কিন্তু আমরা সব সময়ই চাই জিততে। প্রতি ম্যাচেই গোল পাচ্ছি আমরা। এই ম্যাচেও পেতে হবে”।                    তথ্য সংগ্রহ- আইএসএল