ব্রাসিলিয়া: কোপা আমেরিকায় দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন লিওনেল মেসি। প্রথম ম্যাচে চিলির বিরুদ্ধে বাঁ পায়ের অনবদ্য শটে ফ্রি কিক থেকে গোল করেছিলেন। আর উরুগুয়ের বিরুদ্ধে টুর্নামেন্টে আর্জেন্তিনার দ্বিতীয় ম্যাচে গিদো রদরিগেজ়ের জন্য সাজিয়ে দিয়েছিলেন গোলের বল। যে ক্রস থেকে গোল করে আর্জেন্তিনার জয় নিশ্চিত করে দেন গিদো।


মঙ্গলবার ভোরে কোপা আমেরিকায় আর্জেন্তিনার প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ে। যে ম্যাচে অনন্য নজিরের সামনে মেসি। এমন একটি কীর্তি স্পর্শ করতে চলেছেন মেসি, যা কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনারও নেই।


কী এমন নজিরের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মেসি? প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে মঙ্গলবারের ম্যাচ দেশের জার্সিতে মেসির ১৪৭তম ম্যাচ হতে চলেছে। আর্জেন্তিনার জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার নজির এতদিন পর্যন্ত ছিল হাভিয়ার মাসচেরানোর। তিনিও দেশের হয়ে ১৪৭টি ম্যাচ খেলেছিলেন। মঙ্গলবার সেই কীর্তি স্পর্শ করতে চলেছেন মেসি। সব কিছু ঠিকঠাক চললে চলতি কোপা আমেরিকাতেই আর্জেন্তিনার জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার নজির গড়বেন মেসি।


দিয়েগো মারাদোনা আর্জেন্তিনার জার্সিতে ৯১ ম্যাচ খেলেছিলেন। দেশের জার্সিতে ৩৪টি গোল ছিল তাঁর। অন্যদিকে দেশের হয়ে ৭৩টি গোল রয়েছে মেসির।


দু ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে চিলির সঙ্গে গ্রুপ এ-র শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্তিনা। মঙ্গলবার ভোরে প্যারাগুয়েকে হারাতে পারলেই কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলবেন মেসিরা। একটি ম্য়াচ খেলে প্যারাগুয়ের তিন পয়েন্ট। দুটি গ্রুপে পাঁচটি করে দল রয়েছে এবং গ্রুপের প্রথম চারটি করে দল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে।


৩৩ বছর বয়সী মেসি দেশের জার্সিতে ৪টি বিশ্বকাপ খেলেছেন। ২০০৫ সালের ১৭ অগাস্ট নীল-সাদা জার্সিতে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে আর্জেন্তিনার হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন মেসি। সেই ম্যাচে অবশ্য পরিবর্ত ফুটবলার হিসাবে মাত্র ১ মিনিট ৩২ সেকেন্ড খেলেছিলেন মেসি। তিনবার বল ধরেছিলেন। ইতিহাস তৈরির সেই ছিল শুরু।


কোপা আমেরিকায় ২২ বার আর্জেন্তিনার মুখোমুখি হয়েছে প্যারাগুয়ে। কোনওবারই হারাতে পারেনি আর্জেন্তিনাকে।