কুইয়াবা: কোপা আমেরিকায় গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আর্জেন্তিনার প্রতিপক্ষ বলিভিয়া। গ্রুপ এ থেকে আগেই শেষ আটের যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে লিওনেল স্কালোনির দল। তাই মঙ্গলবার ভারতীয় সময় ভোর সাড়ে পাঁচটার ম্যাচ কার্যত নিয়মরক্ষার।
যদিও সেই ম্যাচই বাড়তি তাৎপর্য পেয়ে যাচ্ছে দুটি কারণে। এক, এই ম্যাচে আর্জেন্তিনার জার্সিতে রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। প্যারাগুয়ে ম্যাচেই যিনি হাভিয়ার মাসচেরানোর রেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন। আর্জেন্তিনার জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার নজির ছিল মাসচেরানোর। নীল-সাদা জার্সিতে ১৪৭টি ম্যাচ খেলেছেন মাসচেরানো। প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে আর্জেন্তিনার জয়ের ম্যাচে যে নজির স্পর্শ করেছেন মেসি। মঙ্গলবার বলিভিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামলেই ১৪৮টি ম্যাচ খেলে নতুন রেকর্ড গড়বেন মেসি। আর্জেন্তিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড মেসির দখলে চলে আসবে।
পাশাপাশি ম্যাচটির গুরুত্ব বাড়াচ্ছে আর্জেন্তিনার প্রতিপক্ষের নাম। বলিভিয়া বরাবরই লা আলবিসেলেস্তেদের কঠিন গাঁট। যদিও সব মিলিয়ে জয় পরাজয়ের নিক্তিতে অনেক এগিয়ে রয়েছে আর্জেন্তিনা। মোট ৪০ বার মুখোমুখি হয়ে আর্জেন্তিনা জিতেছে ২৮ ম্যাচ। হার ৭ ম্যাচে। ড্র হয়েছে ৫ ম্যাচ। তবে বলিভিয়ার বিরুদ্ধে ৬ গোল খাওয়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে আর্জেন্তিনার। তাই গ্রুপের শেষ ম্যাচে জিততে মরিয়া থাকবে আর্জেন্তিনা শিবির।
এই ম্যাচে মেসিকে খেলানো হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা ছিল। অনেকে বলছিলেন, কোপা আমেরিকায় মেসিকে যেন কিছুটা ক্লান্ত দেখাচ্ছে। বলা হচ্ছিল, টানা ফুটবল খেলার ধকল ফুটে উঠছে মেসির খেলায়। অনেকেরই তাই মত ছিল যে, নক আউট পর্বের টিকিট নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় গ্রুপের শেষ ম্যাচ, যা মূলত নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাতে মেসিকে বিশ্রাম দেওয়া হোক। যদিও রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেসি নিজেই হয়তো এই ম্যাচ খেলতে চেয়েছেন। তাই বলিভিয়ার বিরুদ্ধেও মেসিকে দলে রেখেছেন স্কালোনি। তবে প্যারাগুয়ে ম্যাচের দলের মাত্র ৪জন ফুটবলারকে বলিভিয়ার বিরুদ্ধে দলে রেখেছেন স্কালোনি। বাকি সবই রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলার নিয়ে দল সাজাচ্ছেন।
গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ় একটি হলুদ কার্ড দেখেছেন। তাই বলিভিয়ার বিরুদ্ধে তাঁকে খেলাচ্ছেন না স্কালোনি। তিনি গোলকিপিংয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন ফ্রাঙ্কো আর্মানিকে। পাশাপাশি কার্ড সমস্যার জন্যই খেলাচ্ছেন না লউতারো মার্তিনেজ়, জিওভানি লো সেলসো, লিয়ান্দ্রো পারাদেজ়, লুকাস মার্তিনেজ় কোয়ার্তা এবং জোয়াকিন কোরেয়াকে। প্রত্যেকেই একটি করে কার্ড দেখে ফেলেছেন এবং আর একটি কার্ড মানেই কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে পারবেন না।