মুম্বই: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর ঝুলিতে ১০০ সেঞ্চুরি রয়েছে। এই রেকর্ড কোনওদিনও কেউ ভাঙতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কিন্তু এই একশোর সেঞ্চুরির শুরুটা কবে হয়েছিল জানেন? আজকের দিনেই। সচিন রমেশ তেন্ডুলকর আজকের দিনেই অর্থাৎ ১৪ আগস্ট নিজের কেরিয়ারের প্রথম শতরান হাঁকিয়েছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালে ১৪ আগস্ট ওল্ট ট্র্যাফোর্ডে টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক শতরান হাঁকিয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। ১৮৯ বলে ১১৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। মোট ১৭ টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন সচিন সেদিন। 


ম্য়াচটি ড্র হলেও সেদিন সব লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছিলেন ১৭ বছরের তরুণ ভারতীয় ব্যাটার। তার আগের বছরই ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাত্র ১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল সচিনের। এরপরের বছরই ইংল্যান্ডের মাটিতে নিজের প্রথম টেস্ট ও আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি হাঁকান সচিন তেন্ডুলকর। ভারতীয় ক্রিকেটের সোশ্য়াল মিডিয়ায় সেই মুহূর্তটি তুলে ধরা হয়েছে। 


 






২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। ২০০ টেস্ট খেলে মোট ১৫,৯২১ রান করেছিলেন সচিন। ৫১টি শতরান হাঁকিয়েছিলেন তিনি। ৬৮টি অর্ধশতরানও রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হাঁকানো অপরাজিত ২৪৮ রানের ইনিংস সচিনের টেস্ট কেরিয়ারের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান। ৪৬৩ ওয়ান ডে ম্য়াচ খেলতে নেমে মোট ১৮, ৪২৬ রান করেছেন সচিন। এই ফর্ম্য়াটে ৪৯ সেঞ্চুরি ও ৯৬টি অর্ধশতরানও করেছেন তিনি। এশিয়া কাপের মঞ্চে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপরাজিত ২০০ করেছিলেন ২০১০ সালে। সেটিই এই ফর্ম্য়াটে সচিনের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সচিনই প্রথমবার ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটে দ্বিশতরন হাঁকিয়েছিলেন। 


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিনেশ ফোগতের সমর্থনে সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন সচিন। নিজের সোশ্য়াল মিডিয়ায় তিনি লিখেছিলেন, 'প্রত্যেক খেলার আলাদা নিয়ম থাকে। সেই নিয়ম সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবে সময় বিশেষে নিয়ম খতিয়ে দেখার দরকার রয়েছে। বিনেশ পরিচ্ছন্নভাবে খেলে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিলেন। ফাইনালের আগে তাঁকে বাতিল করা হয় আর সেটাও ওজনের জন্য। রুপোর পদক ওঁর প্রাপ্য। প্রাপ্য রুপোর পদক কেড়ে নেওয়া কোনও খেলোয়াড়ি যুক্তিতে মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।'