দেহরাদুন: উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) বিরুদ্ধে রঞ্জিতে সেঞ্চুরি করলেন অভিমন্য়ু ঈশ্বরণ (Abhimanyu Iswaran)।  ১২৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাংলার অধিনায়ক। এই নিয়ে টানা ২ রঞ্জি ম্যাচে শতরান করেন। এর আগে নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৭০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেছিলেন। মাঝে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্টে ভারতীয় দলে ডাক পেলেছিলেন। রোহিত শর্মার চোটের কারণে, ভারতীয় তারকার অনুপস্থিতিতে দলে ডাক পেয়েছিলেন অভিমন্যু। সেই জন্য রঞ্জির প্রথম ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি তবে দলে ফিরেই অনবদ্য ছন্দে অভিমন্যু।


ভারতীয় 'এ' দলের হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুরন্ত শতরান করেছিলেন অভিমন্যু। রঞ্জিতে ফিরেই নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২১৮ বলে ১৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭০ রানের ইনিংস খেলেন বাংলার ওপেনার। এক ইনিংস ও ১৬১ রানে নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে বোনাস পয়েন্টসহ জয় পায় বাংলা। এবার ঠিক তার পরের ম্যাচেই আবারও জ্বলে উঠল অভিমন্যুর ব্যাট। আবারও শতরান করলেন তিনি। ম্যাচটি উত্তরাখণ্ডের ঘরের মাঠে হলেও, ঘটনাক্রমে এটি আবার ঈশ্বরণের নামে নামাঙ্কিত স্টেডিয়াম। নিজের নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামেই শতরান বাংলার তারকার।


শায়ন মণ্ডল শুরুতে অল্প রানে আউট হলেও, অভিমন্যু ও সুদীপ কুমার ঘরামি বাংলার হয়ে দুরন্ত ব্যাট করছেন। গত ম্যাচে সুদীপও শতরান হাঁকিয়েছিলেন। তিনি বর্তমানে ৬৪ রানে ব্যাট করছেন। অভিমন্যুর সংগ্রহ ১১৩ রান। চা পানের বিরতিতে বাংলার স্কোর এক উইকেটের বিনিময়ে ২১১ রান। 


উনাদকাটের ইতিহাস


রঞ্জির ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিক উনাদকাটের। দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচে খেলতে নেমেছে সৌরাষ্ট্র। সেই ম্যাচেই প্রথম ওভারে বল করতে এসেছিলেন উনাদকাটের (Jaydev Unadkat)। রঞ্জিতে (Ranji Trophy) দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিক করলেন এই তারকা বাঁহাতি পেসার। তিনি তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ফেরালেন দিল্লির ধ্রুব শোরে, বৈভব রাওয়াল ও যশ ধূলকে।


এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লির অধিনায়ক যশ ধূল। কিন্তু তাঁর সিদ্ধান্ত একেবারে বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে। আর তার নেপথ্যে জয়দেব উনাদকাটের বিধ্বংসী বোলিং। টপ অর্ডারকে খেলার শুরুতেই পরপর ফিরিয়ে দিল্লি শিবিরে ত্রাস সৃষ্টি করে দেন উনাদকাট। লোয়ার অর্ডারে হৃত্বিক শোকিন ৬৮ রান করেন। তিনিই দলের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান করেন। এছাড়া শিবাঙ্ক বসিস্ট ৩৮ রান করেন। প্রানসু বিজয়ানারায়নণ ১৫ রান করেন। এছাড়া কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৩৫ রানে অল আউট হয়ে যায় দিল্লি।