কলকাতা: চলে গেলে বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রকাশ পোদ্দার। ময়দান যাঁকে পি সি পোদ্দার নামেই চিনতেন। বাংলা ক্রিকেটে তাঁর অসামান্য় অবদানের জন্য জীবনকৃতি সম্মান পেয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। শুধু নিজে ক্রিকেটার ছিলেন না বলেই নয়, পি সি পোদ্দারই প্রথমবার মহেন্দ্র সিংহ ধোনির কথা বিসিসিআইকে জানিয়েছিলেন। বিসিসিআইয়ের ট্যালেন্ট স্কাউটের সদস্য হিসেবে গিয়েছিলেন জামশেদপুরে। সেই সময়ই এমএসডিকে দেখতে পান তিনি। এরপরই ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের কাছে ধোনিকে নিয়ে জানান। 


জামশেদপুরে অনূর্ধ্ব ১৯ বিহার দলের খেলা দেখতে গিয়ে ধোনিকে চিহ্নিত করেছিলেন প্রকাশ পোদ্দার। বিসিসিআই দ্বারা নিযুক্ত ট্যালেন্ট রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে সেই খেলা দেখতে গিয়ে ধোনিকে চিনেছিলেন তিনি। এরপরই বোর্ডকে ধোনির কথা বলেন বাংলার এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। 


উল্লেখ্য, ১৯৪০ সালে ২৫ অক্টোবর কলকাতায় জন্ম হয় প্রকাশ পোদ্দারের। ডানহাতি এই ব্য়াটার লেগব্রেক গুগলিও করতেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৭৪ ম্যাচে ৩৮৬৮ রান করেছেন। সর্বোচ্চ ১৯৯। হাঁকিয়েছেন ১১টি সেঞ্চুরি। ১৯৬০-৬১ থেকে ১৯৭৬-৭৭ পর্যন্ত ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছেন পি সি পোদ্দার। 


কেমন আছেন পন্থ?


কেমন আছেন ঋষভ পন্থ? গোটা দেশের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষের মনে একটাই প্রশ্ন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বারবার পন্থের আরোগ্য কামনায় ট্যুইট করছেন অনুরাগীরা। চিকিৎসকরা বলছেন ভারতীয় দলের তরুণ উইকেট কিপার ব্যাটার এখন আগের তুলনায় অনেক ভাল আছেন। তবে হাঁটু, আঙুল, গোড়ালি এখনও ফুলে রয়েছে তাঁর। ফলে করা সম্ভব হচ্ছে না এমআরআই স্ক্যান। 


গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর চোট পেয়েছেন ঋষভ পন্থ। ডান হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছে। ডান হাতের কব্জি, গোড়ালি, পায়ের পাতায় চোট রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় দলের তারকা উইকেট কিপার ব্যাটারকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আইসিইউ থেকে এবার প্রাইভেট কেবিনে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে পন্থকে। 


এই মুহূর্তে কিছুটা সুস্থ আছেন পন্থ। কিন্তু ক্রমাগত তাঁকে দেখার জন্য যেভাবে রাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিরা আসছেন, তাতে বিশ্রামে ব্যাঘাত ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য পন্থকে দেরাদূন থেকে উড়িয়ে নিয়ে আসা হতে পারে দিল্লিতে। তাঁকে দিল্লির এএইএমস-এ ভর্তি করানো হতে পারে। শ্যাম শর্মা বলেন, ''একে তো প্রতি মুহূর্তে লোকজনের ভিড় বাড়ছে। নেতা-মন্ত্রী থেকে অভিনেতা, সাধারণ মানুষ সবাই ওর সঙ্গে দেখা করতে চিয়াছে। সেইজন্য পন্থের পরিবারের লোকজন খুবই চিন্তিত। এরমধ্যে আবার অন্য রোগীদের সঙ্গে থাকার জন্য সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই পন্থকে প্রাইভেট ওয়ার্ডে সরিয়ে নেওয়া হল।''