কিংস্টোন: স্বপ্ন দেখাটা শুরু করেছিল দলটা। দলের নেতা হিসেবে শুরু থেকেই লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট ছিলেন রশিদ খান (Rashid Khan)। প্রথমবার কোনও বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) মঞ্চে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল দলটা। অবশেষে তা সত্যি হল। বাংলাদেশকে (Bangladesh Cricket) বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্য়াচে হারিয়ে প্রথমবার যে কোনও বিশ্বকাপের শেষ চারে জায়গা করে নিল আফগানিস্তান (Afganistan Cricket)। মাত্র ১১৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া রেখেছিল বাংলাদেশের (Bangladesh Cricket) সামনে। বোলারদের কাজটা কঠিন ছিল। কিন্তু নবীন উল হক, রশিদ খান, ফারুকিরা বোধহয় জেদ করেই নেমেছিলেন মাঠে, যে এখান থেকে খালি হাতে তাঁরা ফিরবেন না। তাই হাজার বার বৃষ্টির জন্য ম্য়াচের তাল কাটলেও জয় হাসিল করেই ছাড়ল আফগান ব্রিগেড। ৮ রানে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ চারে পৌঁছল আফগানিস্তান।


প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে গুরবাজ ও ইব্রাহিমের জুটি শুরুতে সুন্দর আফগানিস্তানের বোর্ডে রান উঠিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু রিষাদ হোসেনের বলে ইব্রাহিম ফিরতেই একটু চাপ নেমে আসে আফগানদের ব্যাটিং লাইন আপে। উল্টোদিকে গুরবাজ ব্যাটিং করলেও অন্য়দিকে ধারাবাহিকভাবে উইকেট পড়তে থাকে আফগানিস্তানের। আজমাতউল্লাহ ১০, গুলবদিন ৪, নবি ১ রান করে ফেরেন। গুরবাজ ছন্দে থাকলেও উল্টোদিকে উইকেট পড়তে থাকায় চাপ অনুভব করেন তিনি। অবশেষে ৫৫ বলে ৪৩ রান করে আউট হন কেকেআর তারকা। শেষে ১০ বলে তিনটি ছক্কার সাহায্যে ১৯ রান করে দলের স্কোর একশোর গণ্ডি পার করিয়ে দেন আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান। 


বাংলাদেশের সামনে অঙ্ক ছিল ১৩ ওভারের ভেতরে ম্য়াচ জিতলে পয়েন্ট ও রান রেটের বিচারে আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়াকে টেক্কা দিয়ে তারা সেমিতে জায়গা করে নিত। কিন্তু ম্য়াচের শুরু থেকেই আফগান বোলাররা এতটাই নিঁখুত বোলিং করলেন যে লিটন বাদ দিয়ে কোনও ব্যাটারের কাছই তাঁর জবাব ছিল না। ফর্মে থাকা তৌহিদ হৃদয়ও এদিন রান পেলেন না। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ শাকিব আল হাসানকে কিছুদিন আগেই বীরেন্দ্র সহবাগ পরামর্শ দিয়েছিলেন যে এই ফর্ম্য়াট থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য। এদিন শাকিব গুরুত্বপূর্ণ ম্য়াচে খাতা খােলার আগেই প্রথম বলেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন নবীন উল হকের শিকার হয়ে। খেলার মাঝে প্রায় তিনবার বৃষ্টির বাধা হয়ে দাঁড়ায়। একসময়ে ওভার ও লক্ষ্যমাত্রা একটু কম হয়। কিন্তু তাতেও বাংলাদেশের কোনও লাভ হয়নি। লিটন অপরাজিত অর্ধশতরান করে ক্রিজে থাকলেও উল্টোদিকে থেকে উইকেট ধারাবাহিকভাবে হারিয়ে শেষ ম্য়াচএও খোয়ায় বাংলাদেশ। নবীন উল হক ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে ৪ উইকেট নিয়ে ম্য়াচের সেরা হন।