দুবাই: জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েছে ভারত-পাক ক্রিকেট ম্য়াচের। হ্য়াঁ, লাইটি পড়ে অদ্ভুত লাগলেও এটাই সত্যি। আগে ভারত-পাক ম্য়াচের ক্ষেত্রে টিকিট পাওয়া যেত না। মাঠের প্রতিটা দর্শকাসন ভর্তি থাকত। কিন্তু এশিয়া কাপের সুপার ফোরের টিকিটও না কি এবার পুরো বিক্রি হচ্ছে না। তাও আবার ভারত-পাক ম্য়াচের। দুবাইয়ের টিকিট বিক্রির যে আয়োজকরা তারা নখ কামড়াচ্ছেন এই পরিস্থিতি দেখে। অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে শেষ পর্যন্ত অফারে টিকিট বিলোনোর পথে হেঁটেছেন তারা।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভারত-পাকিস্তান ম্য়াচ আয়োজিত হয়েছিল এই দুবাইয়েই। কিন্তু সেবারও টিকিট নিয়ে হাহাকার দেখা গিয়েছিল সমর্থকদের মধ্যে। কিন্তু এবারের ছবিটা একদম আলাদা। গ্রুপের ম্য়াচের সময়ও টিকিটের চাহিদা নেই, এই ছবিটা দেখে অবাক হয়েছিলেন অ্য়াসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। সুপার ফোরের ম্যাচের আগও ছবিটা একইরকম প্রায়। উপায় না দেখে শেষ পর্যন্ত ২টো টিকিট কিনলে একটি টিকিট ফ্রি দেওয়া হবে, এমন অফার দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু কেন এই ভারত-পাক ম্যাচের জনপ্রিয়তা কমছে?
আসলে পুরোটাই পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর দু দেশের আভ্যন্তরীণ সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য। প্রথমে তো এশিয়া কাপে খেলতেই চায়নি টিম ইন্ডিয়া। পরে খেললেও পাকিস্তান ম্য়াচে 'হ্যান্ডশেক' বিতর্ক আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ও ভারতীয় ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাতে চাননি ম্য়াচের সময় ও ম্যাচের পর। পাকিস্তান যার প্রতিবাদে সাংবাদিক বৈঠক বাতিল করেছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদে একটা সময় তো এশিয়া কাপ বয়কটের ডাকও দিয়েছিল পিসিবি। এইগুলো সমর্থকদের কাছেও বিরক্তির বিষয় হয়ে উঠেছে।
এছাড়া ভারতীয় ক্রিকেট দলে এখন নেই রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। অন্যদিকে, পাকিস্তান ক্রিকেটে বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ান নেই এই টুর্নামেন্টে। দুই তারকা না থাকায় ম্য়াচেও তার প্রভাব পড়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের পারফরম্য়ান্স একেবারেই আশানুরুপ নয় টুর্নামেন্টে। ফলে পাক সমর্থকদের মধ্য়েও এই ম্যাচ ঘিরে প্রত্যাশা সেরকম নেই। ২২ গজের মহারণে ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর পাকিস্তান হারাতে পারেনি ভারতকে। বারবার মাঠে এসে নিজের দলের হার দেখতে কারই বা ভাল লাগে।
শনিবার ২০ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরের প্রথম ম্য়াচে বাংলাদেশ হারিয়ে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। গ্রুপপর্বের ম্য়াচে হারের বদলে সুপার ফোরের ম্য়াচ থেকে নিয়েছিল টাইগাররা।