দুবাই: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে (IND vs PAK) খেতাবি ফাইনালে মাঠে নেমেছে ভারত। লক্ষ্য ফের একবার মহাদেশের সেরা হওয়া। ৪১ বছরে এই প্রথমবার এশিয়া কাপের ফাইনালে (Asia Cup Final) ভারত বনাম পাকিস্তানের ম্যাচ হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে এই ম্যাচের আগে চাপ রয়েইছে। তবে যশপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah) আত্মবিশ্বাসী। ম্যাচের আগে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন প্রতিপক্ষ কে রয়েছে, তাতে কিছু যায় আসে না, বরং নিজেদের প্রস্তুতিটা ভালভাবে করতে বিশ্বাসী তিনি ও ভারতীয় দল। 

Continues below advertisement

ভারতীয় দল এবারের এশিয়া কাপে ইতিমধ্যেই গ্রুপ পর্ব ও 'সুপার ফোর'-র ম্যাচে পাকিস্তানকে দুইবার হারিয়েছে ভারতীয় দল। তবে বুমরা একদিকে যেমন সেইদিকে বাড়তি নজর না দিয়ে প্রতিটি ম্যাচকেই নতুন ম্যাচ হিসাবে মন করছেন। ম্যাচপূর্বে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'এই ফর্ম্যাটে কেউ দলের নাম দেখে না, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আইপিএল কিন্তু এক্ষেত্রে সাহায্য করেছে। আমদের তরুণরা নিজেদের বড় মঞ্চে আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামে। প্রতিটি ম্যাচেই তো শূন্য থেকে শুরু করতে হয়। আমরা আত্মবিশ্বাসী হয়েই শুরুটা করব। কিন্তু এই ম্যাচের জন্য বাড়তি প্রস্তুতি বা একেবারে প্রস্তুতি করলামই না, কোনওটাই করা উচিত নয়। আমাদের দলের শক্তি, কম্বিনেশনের দিকে নজর দিলেই সাফল্য আসবে। ওদের দিকে তাকলে তো জিনিসটা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।'

এই বারের এশিয়া কাপে বুমরাকে নতুন ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। ডেথ বোলিংয়ের বদলে শুরুতেই নতুন বলে পাওয়ার প্লেতে তিন ওভার করছেন বুমরা। এই বিষয়টা তাঁর ফিটনেসের সমস্যার কথা মাথায় রেখেই হচ্ছে বলে মনে করেন ভারতীয় প্রাক্তনী মহম্মদ কাইফ। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় কাইফ দাবি করেন, 'রোহিতের অধিনায়কত্বে বুমরা সাধারণত ১, ১৩, ১৭ ও ১৯ নম্বর ওভার বল করত। তবে সূর্যর নেতৃত্বে এশিয়া কাপে শুরুতেই ও তিন ওভারের স্পেল করছে। চোট এড়াতে আজকাল বুমরা ওর শরীর গরম থাকতে থাকতেই বল করছে । শেষের ১৪ ওভারের মধ্যে বুমরার মাত্র এক ওভার থাকাটা ব্যাটারদের জন্য বিরাট স্বস্তির বিষয়। বিশ্বকাপে শক্তিশালী দলগুলির বিপরীতে এমন হলে কিন্তু ভারতীয় দলের চাপ হতে পারে।'    

Continues below advertisement

বুমরা অবশ্য এই দাবি সম্পূর্ণ নস্য়াৎ করে দিয়েছিলেন। এদিন ম্যাচপূর্বে তাঁকে নিজের এই নতুন ভূমিকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বুমরা বলেন, 'এই ভূমিকাটা ভিন্ন। দল আমায় শুরুতে ব্যবহার করতে চাইছে। এটা অবশ্যই আমার কাছে নতুন একটা বিষয়। আমি এই ভূমিকায় ওতটা সড়গড় নয়। অবশ্য ২০১৬ সালে ওই কেরিয়ারের শুরুর দিকে আমি যখন দলে প্রথম এসেছিলাম, তখন এই ভূমিকা পালন করেছিলাম। তবে সব ভূমিকাতেই নিজের সেরাটা দিতে আমি বদ্ধপরিকর।'

মঞ্চ ও খেলোয়াড়রা প্রস্তুত, এবার ফাইনাল শেষে ভারত না পাকিস্তান, কোন দল জয়ের হাসি হাসে সেটাই দেখার বিষয় হতে চলেছে।