দুবাই: আর মাত্র কয়েক মিনিটের অপেক্ষা। তারপরেই দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরু হয়ে যাবে মহাদেশের সেরা হওয়ার লড়াই। ৪১ বছরে এই প্রথমবার খেতাবি লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই যুযুধান প্রতিপক্ষ ভারত ও পাকিস্তান (IND vs PAK)। এই ম্য়াচ ঘিরে এবারের এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) বারংবার বিতর্কের তৈরি হয়েছে যা দুই দলের ২২ গজের লড়াইকে ছাপিয়ে গিয়েছে। ফাইনাল ম্যাচের আগেও ফের একবার বিতর্ক। 

Continues below advertisement

অর্শদীপ সিংহের (Arshdeep Singh) বিরুদ্ধে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসির কাছে নালিশ জানিয়েছে। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ২১ সেপ্টেম্বরের ম্যাচে অর্শদীপ 'অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি' করেছেন বলে পিসিবির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, Samaa TV-র রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে। ফাইনালের আগেই পাকিস্তানের তরফে এই অভিযোগ করে অর্শদীপের শাস্তির দাবি করা হয়েছে। পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়েছে অর্শদীপ দর্শকদের উদ্দেশে যে অঙ্গভঙ্গি করেছেন তা আইসিসির নিয়মনীতির বিরোধী।

পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়েছে অর্শদীপের অঙ্গভঙ্গি ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করেছে। এমন যাঁরা আইসিসির নিয়মবিধি লঙ্ঘন করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়ার আবেদন করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এই নিয়ে এখনও শুনানি হয়নি। ম্যাচ রেফারির সামনে শুনানি হওয়ার পরেই কোনও ক্রিকেটার দোষী বা নির্দোষ সাব্যস্ত হবেন।  এই কিন্তু প্রথম নয়, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে চলতি এশিয়া কাপেই এর আগে ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের বিরুদ্ধে আইসিসিতে নালিশ করা হয়েছিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের ম্যাচশেষে সূর্যকুমার যাদব পাক খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত তো মেলানইনি। উপরন্তু, তিনি ম্যাচ শেষে দলের জয়কে পহেলগাঁও হামলায় নিহত ভারতবাসী ও ভারতীয় জওয়ানদের উৎসর্গ করেছিলেন।

Continues below advertisement

এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে পাকিস্তান বোর্ডের তরফে অভিযোগ করা হয়। সূর্যকুমার নিজেকে নির্দোশ বলে দাবি করলেও, আইসিসি ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসন তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ভারতীয় অধিনায়কের ৩০ শতাংশ ম্যাচ ফি কাটা হয়। ভারতের তরফেও পাকিস্তানের হ্যারিস রউফের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। শাহিবজাদা ফারহানের বিরুদ্ধেও অর্ধশতরান হাঁকানোর পর বিতর্কিত সেলিব্রশেনের জন্য অভিযোগ করা হয়।

সূর্যকুমারের মতোই হ্যারিস রউফও কিন্তু শাস্তি পেয়েছেন। রউফকে ম্যাচে খারাপ ভাষা ব্যবহারের জন্য় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তবে শাহিবজাদা ফারহানকে শাস্তি দেওয়া হয়নি। তাঁকে বরং কেবল সতর্ক করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।