নয়া দিল্লি : ব্যাটিংয়ের সময় তাঁর 'ধ্বংসাত্মক মেজাজ' প্রতিপক্ষ বোলারদের কাছে ত্রাস হয়ে উঠেছে। ব্যাটিংয়ে নিজস্ব একটা ঘরানা তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছেন রিঙ্কু সিংহ  (Rinku Singh)। ফের একবার লাইমলাইটে প্রতিভাবান এই ক্রিকেটার। মঙ্গলবার এশিয়ান গেমসে (Asian Games) নেপালের বিরুদ্ধে ম্যাচে আবারও নজর কাড়লেন রিঙ্কু। ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে বাঁ-হাতি এই ব্যাটার ১৫ বলে তুললেন ৩৭ রান। যার মধ্যে ছিল ২টি চার ও ৪টি ছক্কা। 


এদিনের ম্যাচে ছন্দ নিয়ে ব্যাটিং শুরু করেন রিঙ্কু। অবিনাশ বোহরা ও রোহিত পৌদেলকে পর পর ওভারে ছক্কা হাঁকান। যদিও ভারতীয় ইনিংসের শেষ ওভারে আসল চমক দেন বাঁহাতি ব্যাটার। নেপালের জোরে বোলার অবিনাশকে ২টি ৪ ও ২টি ছক্কা মেরে শেষ করেন রিঙ্কু। 


যশস্বী জয়সওয়ালের (Yashasvi Jaiswal) দুরন্ত শতরান। রিঙ্কু সিংহের দাপুটে ব্যাটিংয়ের পর আবেশ খান ও রবি বিষ্ণোইদের দুরন্ত বোলিং। সবমিলিয়ে এশিয়ান গেমসে নেপালকে ২৩ রানে হারিয়ে অভিযান শুরু করেছে ভারত। যে ম্যাচে জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত। পারফরম্যান্সের সুবাদেই সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুযোগ পেয়েছে ভারত। অন্যদিকে, সেমি-ফাইনালে পৌঁছেছে পাকিস্তানও। অভিজ্ঞ অল-রাউন্ডার খুশদিল শাহ-র ১৩ রানে ৩ উইকেটের সুবাদে হংকংয়ে কার্যত ৬৮ রানে পিষে দিয়ে জয় হাসিল করে নিয়েছে পাকিস্তান।


ভারতে বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ। তাই রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলির মতো তারকারা রয়ে গেছেন দেশেই। এই পরিস্থিতিতে টি২০-তে শিখরে থাকা ভারত Hangzhou-এ নিয়ে গেছে দ্বিতীয় সারির দল। যদিও সেই দলও প্রতিভায় ভরপুর। যাঁরা আইপিএলের মতো মঞ্চে নিজেদের প্রমাণ করেছেন। এর পাশাপাশি বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের রয়েছে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাও। 


নেপালের বিরুদ্ধে ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। রুতুরাজ (২৫), তিলক বর্মা (২) ও জিতেশ শর্মা (৫) ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে ভারতের স্কোর টানতে শুরু করেন ওপেনার যশস্বী। যে পথে শিবম দুবের যোগ্য সাহায্য পান তিনি। ২০ ওভারের ম্যাচে ৪৯ বলে ৮ টি চার ও ৭ টি ছয় হাঁকিয়ে ১০০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন যশস্বী। নেপালের বিরুদ্ধে কনিষ্ঠতম ভারতীয় হিসেবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে শতরান হাঁকান যশস্বী। তিনি ফেরার পর রিঙ্কু সিংহের (Rinku Singh) ১৫ বলে ২ টি বাউন্ডারি ও ৪ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংসে ভর করে ২০০ রানের গণ্ডি টপকে যায় ভারত। নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে ৪ উইকেটে ২০২ রান খাড়া করে ভারত।


বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এশিয়ান গেমসে দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়েছে বিসিসিআই (BCCI)। যে প্রভাব দেখা গেল ভারতীয় বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও। বিশেষ করে ব্যাট হাতে অপরাজিত ২৫ রান করলেও বোলিংয়ের সময় অনেক রান গলিয়ে ফেলেন তিনি। যদিও পেসার আবেশ খান ও স্পিনার রবি বিষ্ণোইয়ের বোলিং দাপটে নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে ৯ উইকেটে ১৭৯ রানে থেমে যায় নেপালের ইনিংস। আবেশ ও রবি দু'জনেই ৩ টি করে উইকেট নিয়েছেন।