বার্মিংহাম: অ্যাশেজ মানেই ক্রিকেটের সবথেকে পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের (ENG vs AUS) হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। বার্মিংহামের এজবাস্টনে সেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়েরই সাক্ষী হয়ে থাকল ক্রিকেটবিশ্ব। এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পরিপক্কতার পরিচয় দিয়ে দলকে দুই উইকেট জেতালেন প্যাট কামিন্স (Pat Cummins)। প্রবল চাপের মাথা ঠান্ডা রেখে তাঁর অপরাজিত ৪৪ রানের ইনিংসই অজিদের দুই উইকেটে জয় এনে দিল। নবম উইকেটে প্যাট কামিন্স ও নাথান লায়ন (Nathan Lyon) অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৫৫ রান যোগ করেন।


ম্যাচ জয়ের জন্য ২৮১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পঞ্চম দিনের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য ১৭৪ রানের প্রয়োজন ছিল। হাতে ছিল সাত উইকেট। ক্রিজে অজিদের হয়ে প্রথম ইনিংসে শতরান হাঁকানো উসমান খাওয়াজা ৩৪ রানে ব্যাট করছিলেন। তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য ছিলেন নাইট ওয়াচ ম্য়ান হিসাবে মাঠে নামা স্কট বোল্যান্ড। এক হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখার আশায় ছিলেন সকলেই। এমন পরিস্থিতিতে বাধ সাধেন বরুণদেব। বৃষ্টির জন্য গোটা প্রথম সেশনই বাতিল হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচে তিনটি ফলাফলই সম্ভব ছিল।


দ্বিতীয় সেশনে খেলা শুরু হলেও বোল্যান্ডকে ২০ রানে সাজঘরে ফেরত পাঠান স্টুয়ার্ট ব্রড। ট্র্যাভিস হেড ক্রিজে নেমে আগ্রাসী ভঙ্গিমায় ব্যাট করা শুরু করেছিলেন বটে। তবে তিনি ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। তাঁকে সাজঘরে ফেরত পাঠান মঈন আলি। তবে খাওয়াজা একদিক ধরে রেখেছিলেন। তিনি নিজের অর্ধশতরানও পূর্ণ। তাঁকে সঙ্গ দেন ক্যামেরন গ্রিন। চা বিরতির আগে আর কোনও উইকেট হারায়নি অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় সেশন শেষে অজিদের স্কোর ছিল পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৩ রান। জয়ের জন্য শেষ সেশনে আরও ৯৮ রান তুলতে হত খাওয়াজাদের।


দিনের শেষ সেশনের খেলা শুরু হতেই পরপর ধাক্কা খায় অজিরা। অলি রবিনসন ক্যামেরন গ্রিনকে ২৮ রানে আউট করেন। সেট খাওয়াজাকে ৬৫ রানে ঘরে ফেরান বেন স্টোকস। এরপর নিজের বোলিংয়ে এক দুর্ধর্ষ ক্যাচ নিয়ে অ্যালেক্স ক্য়ারিকে জো রুট সাজঘরে ফেরত পাঠান। ২২৭ রানে আট উইকেট হারিয়ে নিশ্চিত পরাজয়ের দিকে এগোচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেই দলের ত্রাতা হয়ে উঠেন কামিন্স। চতুর্থ দিনে তিনি বল হাতে নিজের দক্ষতা দেখিয়েছিলেন। এদিন ব্যাট হাতে নিজের পরিপক্ক ইনিংসে সকলকে মুগ্ধ করলেন কামিন্স। তাঁর দৌলতেই জয় পেল অজিরা। লায়নও ১৬ রানে অপরাজিত থেকে তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন।


এবিপি আনন্দ এখন টেলিগ্রামেও, ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
https://t.me/abpanandaofficial


আরও পড়ুন: লেখার দক্ষতা বাড়াতে কোন কোন দিকে খেয়াল রাখতে হবে?