করাচি: টি-টােয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) জঘন্য পারফরম্য়ান্স। আতচ কাচের নীচে পাক দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা। এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে পিসিবি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজে বাবর আজম (Babar Azam), মহম্মদ রিজওয়ানদের (Muhammad Rizwan) বাদ দিয়েই হয়ত এবার দল গঠন করা হবে হয়ত। শুধু এই দুজন নয়। কোপ পড়তে পারে শাহিন আফ্রিদির ওপরও। সূত্রের খবর, ইংল্যান্ডের মাটিতে কাউন্টি খেলা শান মাসুদের নেতৃত্বে হয়ত পাক দল টেস্ট সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন পাকিস্তানের লাল বলের ক্রিকেটে নতুন কোচ জেসন গিলেসপি।


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্য়াচে সুপার ওভারে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হেরে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল পাক শিবিরকে। আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে হার। সেই ম্য়াচে অল্প রান তাড়া করতে নেমেও হারতে হয়েছে। বিশেষ করে লোয়ার অর্ডার একেবারে দায়িত্ব সামলাতে পারেনি। রিজওয়ান ও বাবরের স্ট্রাইক রেট নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বাবরের নেতৃত্ব দিয়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন কিছু ক্রিকেটারই প্রশ্ন তুলেছেন। যার ফলে লিগ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র জানিয়েছেন, ''পাকিস্তানের ক্রিকেট দলের অন্দরমহলে একটা বড় আলোচনা চলছে। সামনেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ। সেই ম্য়াচে বাবর, রিজওয়ান, শাহিনের মত সিনিয়রদের বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে।'' যদিও সেই সূত্র আরও বলেন, ''এখনও পর্যন্ত অফিশিয়ালি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কারণ শেষ পর্যন্ত মাসুদ ও গিলেসপিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। আগামী কয়েক সপ্তাহে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডেও কিছু বদল দেখা যেতে পারে। নির্বাচক কমিটিতেও বদল আসতে পারে।''


সূত্র মারফৎ আরও জানা যাচ্ছে যে পিসিবি এরমধ্যেই গিলেসপি ও সাদা বলের ফর্ম্য়াটে কোচ গ্যারি কার্স্টেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে আয়োজিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরিকল্পনা জানতে। তবে সেই টুর্নামেন্টের আগে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্য়াচের টেস্ট সিরিজ আয়োজন করবে পাকিস্তান ঘরের মাঠে। এরপর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলবে তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট ও ওয়ান ডে সিরিজ খেলবে পাকিস্তান।


উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর দলের ভেতরে অন্তর্দ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। পিসিবি ইতিমধ্যেই গ্যারি কার্স্টেনের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে দলের আভ্যন্তরীন সংস্কৃতি, প্লেয়ারদের ব্য়বহার, তাঁদের আচার আচরণ সম্পর্কে জানানোর জন্য। এরপরই হয়ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।