কলকাতা: গতকালই সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল। জয়ের জন্য শেষদিনে ১০১ রান প্রয়োজন ছিল বাংলার। হাতে ছিল ৮ উইকেট। এদিন আর মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় টিম বেঙ্গল। গতকা ল অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন কৌশিক ঘোষ। আজ অর্ধশতরান হাঁকালেন অনুষ্টুপ মজুমদার ও অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিও।


ঘরের মাঠে রঞ্জিতে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল বাংলা। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয় হয়েছিল মনোজ বাহিনীর। ১৬৯ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় ব্যাটিং বিভাগ। গতকাল ৪৪ রানে অপরাজিত থেকে ক্রিজ ছেড়েছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। এদিন ৬৯ রান করে কৌশিক ঘোষ আউট হন। অন্যদিকে অনুষ্টুপ দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার জার্সিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮৩ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাংলার ক্রাইসিস ম্যান। অনুষ্টুপ ফিরে গেলেও দলের জয় নিশ্চিত করে দেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। ৭টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬০ রানে অপরাজিত থেকে যান তিনি। ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় বাংলা।


ম্যাচ জয়ের পর সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ''এটা একদম ক্লাসিক একটি রঞ্জি ম্যাচ। প্রথমে একটু পিছিয়ে পড়ার পরও দুর্দান্তভাবে বাংলা ফিরে এসেছে ম্যাচে। ওঁরা লড়াই করেছে। অনুষ্টুপ, মনোজ, কৌশিকরা দারুণ ব্য়াটিং করল। আকাশদীপও বল হাতে ভাল পারফর্ম করেছে। ঈশান পোড়েল যেভাবে প্রত্যাবর্তন করেছে, তাতেও আমি খুশি।''


এদিন মনোজ তিওয়ারি ও অনুষ্টুপ মজুমদারের ৯৭ রানের পার্টনারশিপই বাংলার জয়ের ভিত গড়ে দেয়। গোটা ম্যাচে ৭ উইকেট নেওয়ার জন্য ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছে ঈশান পােড়েল। ম্যাচ জয়ের পর অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি বলছেন, ''উইকেট কখনওই সহজ ছিল না ব্যাট করার জন্য। কিন্তু অনুষ্টুপ দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছে। আমিও খুশি যে কিছু রান করতে পেরেছি। ঈশান বল হাতে নিজের সেরাটা দিয়েছে। আমি নিশ্চিত এই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে। আগামী ম্যাচগুলোয় নামার আগে যা আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে।''


বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল বলেন, ''ভীষণ খুশি আমি দলের পারফরম্যান্সে। প্রথম দিন থেকে আমরা নিজেদের ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম যে আমরা প্রতি ম্যাচে জিততে পারব। মনোজ, অনুষ্টুপ সহ দলের প্রত্যেকে তাঁদের সেরা পারফরম্যান্স দিয়েছে। আমি আশাবাদী পরের ম্যাচগুলােতেও ভাল খেলতে পারব আমরা।''