ঢাকা: একটা, দুটো নয়, টানা তিনটে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টানা তিন ম্যাচ জিতে নিল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাটলার বাহিনীকে হোয়াইটওয়াশ করল শাকিব আল হাসানের দল। এদিন ঢাকায় শেষ ম্যাচেও ইংল্য়ান্ডকে ১৬ রানে হারিয়ে দিল বাংলাদেশ।

  


ঢাকায় এদিন শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের হয়ে ওপেনে নেমেছিলেন লিটন দাস ও রনি তালুকদার। ৫৭ বলে ৭৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন লিটন। নিজের ইনিংসে ১০টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান ডানহাতি তরুণ বাংলাদেশি ব্যাটার। রনি ২৪ রান করে ফেরেন। নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৬ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন। ১টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১৫৮ রান তুলে নেয় বাংলাদেশ।


জবাবে ব্য়াট করতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানের বেশি তুলতে পারেনি ব্রিটিশ বাহিনী। ডেভিড মালান দলের হয়ে সর্বাধিক ৪৭ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান মালান। ৩১ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন ক্যাপ্টেন জস বাটলার। 


আগেই সিরিজ জেতে বাংলাদেশ


রবিবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ড শুরুটা কিন্তু মন্দ করেনি। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ডেভিড মালানকে ৫ রানে ফেরালেও, পাওয়ার প্লেতে ওই এক উইকেটের বিনিময়েই ৫০ রান তুলে ফেলে ইংল্যান্ড। কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষেই সাত রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। ফিল সল্ট (২৫), মঈন আলি (১৫), জস বাটলার (৪) সাজঘরে ফেরেন। বেন ডাকেট (২৮) ও স্যাম কারান (১২) ষষ্ঠ উইকেটে ৩৪ রান যোগ করেন বটে।


তবে এরপরে ফের একবার ব্যাটিং ধস নামে। ২৬ রানের ব্যবধানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। ১১৭ রানেই শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। মেহেদি হাসান মিরাজ (Mehidy Hasan Miraz) চার উইকেট নেন। তাসকিন আমেদ, শাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মামুদ, সকলেই একটি করে উইকেট নেন। অল্প রানের লক্ষ্য সামনে থাকলেও বাংলাদেশ কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা খায়। দুই বাংলাদেশি ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার ব্যক্তিগত ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ দুই উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩২ রান করে। 


পরিপক্ক ইনিংস


বাংলাদেশকে চাপের মুখ থেকে রক্ষা করেন গত ম্যাচে অর্ধশতরান হাঁকানো নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি মন্থর গতিতে হলেও ৪৬ মহামূল্যবান রানের ইনিংস খেলে দলের জয় সুনিশ্চিত করেন। অপরাজিত থাকেন শান্ত। বল হাতে চার উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতেও ২০ রানের ইনিংস খেলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। অধিনায়ক শাকিব অবশ্য শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরেন। জোফ্রা আর্চার আগুনে বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরার স্বপ্ন দেখালেও, শেষ পর্যন্ত হতাশই হতে হয় ইংল্যান্ড। আর্চার অবশ্য চার ওভারে ১৩ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট নিয়ে বেশ প্রভাবিত করেন।