মুম্বই: টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে ভারতীয় দলের নেতৃত্বভার রয়েছে সূর্যকুমার যাদবের কাঁধে। কিন্তু তিনি কি আর বেশিদিন এই দায়িত্বে আদৌ থাকবেন? হ্যাঁ, এমন প্রশ্নই উঠছে। তার অন্যতম কারণ শুভমন গিলের ইংল্যান্ডের মাটিতে অধিনায়ক হিসেবে সাফল্য পাওয়া। টেস্ট সিরিজ জিততে না পারলেও প্রথমবার ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট ফর্ম্য়াটে অধিনায়ক হিসেবে দলকে সিরিজে ড্র করাতে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন গিল। নিজে ব্যাট হাতে টুর্নামেন্টের সর্বাধিক রান সংগ্রাহকও ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেক আলাদা আলাদা ফর্ম্য়াটে আলাদা আলাদা অধিনায়ক থাকার বিষয়ে সহমত পোষণ করছে না বিসিসিআই। এখনও অফিশিয়ালি কিছু জানানো না হলেও এই নিয়ে নাকি আলোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু এশিয়া কাপ। এবার যা টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে হবে। আর গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়ের পর রোহিত শর্মা কুড়ির ফর্ম্য়াট থেকে অবসর নেন। এরপর থেকে সূরযকুমারই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন এই ফর্ম্য়াটে জাতীয় দলে। সাফল্যও পেয়েছেন তিনি। কিন্তু বারবার চোট আঘাত একটা বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে সূর্যের কেরিয়ারে। আগামী এশিয়া কাপের আগে নিজেকে ক্রমেই ফিট করে তুলছেন সূর্যকুমার, কিন্তু তিনি আদৌ ম্য়াচ ফিট কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অনেক বলছেন যে গিলকে এশিয়া কাপে অধিনায়ক বেছে নেওয়া হোক।
আবার এখানে আরও একটি বিষয় উঠে এসেছে। টেস্ট ও ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটে জাতীয় দলের অটোমেটিক চয়েস হলেও কুড়ির ফর্ম্যাটে এখনও গিল সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ২০২৪ সালের জুলাই শ্রীলঙ্কা সফরের পর এই ফর্ম্য়াটে আর খেলেননি। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার দেবাং গাঁধী বলছেন, ''২০১৭ সলে বিরাট কোহলি যে অরা ক্রিয়েট করেছিল, গিলও কিন্তু সেটাই করছে। ধোনির অধীনে নিজেকে তৈরি করেছিল গিল। অন্য়দিকে গিলও ওর কেরিয়ারের একেবারে মধ্য়গগনে রয়েছেন এই মুহূর্তে। এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র টেস্টে কেন ও নেতৃত্বভার সামলাবে। বিসিসিআইয়ের উচিৎ ওকে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটেও অধিনায়ক নির্বাচিত করা। এমনকী বোর্ডে একটা বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা রাখা উচিৎ যে সূর্যকুমারের পরে কে নেতৃত্বভার সামলাবে, তা নিয়ে।''
টেস্ট সিরিজে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি অবসর নেওয়ার পর শুভমন গিলকে নেতৃত্বভার তুলে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর নেতৃত্বে পাঁচ ম্াচের সিরিজে ২-২ ড্র করেছে ভারতীয় দল। এজবাস্টন ও ওভালে ম্য়াচ জিতেছে ভারত। লিডস ও লর্ডসে ম্য়াচ হেরেছে তাঁরা। ম্য়াঞ্চেস্টার টেস্ট ড্র হয়েছিল।