মুম্বই : চেতন শর্মা নেতৃত্বাধীন (Chetan Sharma-led) জাতীয় নির্বাচক কমিটিকে (National Selection Committee) (সিনিয়র) বাতিল ঘোষণা করল বিসিসিআই। শুধু তা-ই নয়, জাতীয় নির্বাচকের পদের জন্য ট্যুইটারে আবেদনপত্রও আহ্বান করেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড।


এক বিবৃতিতে বিসিসিআইয়ের তরফে বলা হয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড জাতীয় নির্বাচক (সিনিয়র) পদের জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। এই পদের জন্য যিনি আবেদন করতে ইচ্ছুক, তাঁর এই মানদণ্ডগুলি থাকতে হবে।


কোন কোন মাপকাঠি রাখা হয়েছে ? 


জাতীয় নির্বাচক (সিনিয়র মেন)- ৫


তাঁর ন্যূনতম এই যোগ্যতাগুলি থাকতে হবে-


৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলে থাকতে হবে


অথবা


প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে হবে ৩০টি


অথবা


১০টি একদিনের ম্যাচ ও ২০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে থাকতে হবে।


এছাড়া অন্ততপক্ষে ৫ বছর আগে খেলা থেকে অবসর নিয়ে থাকতে হবে।


বিসিসিআইয়ের তরফে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এমন কোনও ব্যক্তি যিনি কোনও ক্রিকেট কমিটিতে মোট ৫ বছর সদস্য রয়েছেন (বিসিসিআইয়ের নিয়মবিধিতে যেমনটা উল্লেখ করা আছে), তিনি সিলেকশন কমিটির(পুরুষ) সদস্য হওয়ার যোগ্য। ইচ্ছুকদের ২৮ নভেম্বর সন্ধে ৬টার মধ্যে আবেদন করতে হবে।


এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি একের পর এক বড় মঞ্চে টিম ইন্ডিয়ার ব্যর্থতার জেরেই এই কোপ পড়ল ? সদ্য শেষ হওয়া টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছে ভারতকে। সবথেকে হতাশাজনক বিষয় হচ্ছে, ১০ উইকেটে হেরেছে দল। সেমিফাইনালে ভারতের এই প্রস্থানের পর থেকেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। একাধিক খেলোয়াড় ফর্মে না থাকা সত্ত্বেও তাঁদের টিমে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 


বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতের জয়ের মধ্যে রয়েছে- জিম্বাবোয়ে ও নেদারল্যান্ডের মতো দলের বিরুদ্ধে। এছাড়া, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনওক্রমে জয় ছিনিয়ে আনতে পেরেছে রোহিত-বাহিনী। তব, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে জয়ের মুখ দেখেনি টিম ইন্ডিয়া। এর পাশাপাশি পন্থকে বিশ্বকাপে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে এবং চহ্বালের প্রথম একাদশে অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাওয়ার-প্লে-তে ব্যাটিং অর্ডারের ব্যর্থতাও চলে এসেছে আতসকাচের তলায়। 


এর আগে ২০১৩ সালে শেষবার ধোনির নেতৃত্বে আইসিসি টুর্নামেন্ট জিতেছে ভারত। তারপর থেকেই এই মঞ্চে ধারাবাহিক ব্যর্থতা লেগেই রয়েছে।