মুম্বই: ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) সচিব তিনি। প্রেসিডেন্ট পদে কপিল দেবের বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্রিকেটার রজার বিনি থাকলেও বোর্ডের সমস্ত কাজকর্ম যে বকলমে জয় শাহই (Jay Shah) নিয়ন্ত্রণ করেন, ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকেই তা জানেন। এবার কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পুত্রকে দেখা যাবে আরও বড় ভূমিকায়?


সব কিছু ঠিকঠাক চললে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি চেয়ারম্যান পদে দেখা যেতে পারে জয় শাহকে। তিনি গ্রেগ বার্কলের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন। শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের সমর্থন পেয়ে গিয়েছেন জয় শাহ। তাঁর আইসিসি প্রধান হওয়া সময়ের অপেক্ষা মনে করা হচ্ছে।


আর যদি জয় শাহ সত্যিই আইসিসি চেয়ারম্যান হন, তাহলে সেটা হবে একটি নজির। কারণ, ৩৫ বছরের জয় শাহই হবেন আইসিসি-র ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান। পঞ্চম ভারতীয় হিসাবে আইসিসি প্রধান হবেন জয় শাহ। তাঁর আগে আইসিসি প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন জগমোহন ডালমিয়া, শরদ পওয়ার, এন শ্রীনিবাসন ও শশাঙ্ক মনোহর।




 


টানা দু'দফা আইসিসি চেয়ারম্যান ছিলেন গ্রেগ বার্কলে। তবে নিউজ়িল্যান্ডের প্রতিনিধি বার্কলে মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছেন যে, তৃতীয় টার্মের জন্য লড়াই করবেন না তিনি। আইসিসি চেয়ারম্যান পদে তাঁর বর্তমান মেয়াদকাল শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ নভেম্বর। নিয়ম হচ্ছে, ২ বছর করে টানা তিনটি টার্ম - অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৬ বছর আইসিসি চেয়ারম্যান পদে থাকতে পারেন কেউ। সেই হিসেবে তৃতীয় টার্মে আরও ২ বছরের জন্য থাকতে পারতেন বার্কলে। তবে জয় শাহ আইসিসি প্রধান হতে চান জানার পরই তিনি নির্বাচনে লড়বেন না বলেই জানিয়েছেন।


আইসিসি-তে ভোটাধিকার রয়েছে, এমন ১৬টি দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক জয় শাহর। যদি ভোটাভুটিও হয়, তাহলে ৯ ভোট পেলেই মসনদে বসবেন জয় শাহ। আগে যদিও নিয়ম ছিল দুই তৃতীয়াংশ সমর্থন দরকার হতো। নতুন নিয়মে জয় শাহর চেয়ারম্যান পদে বসতে সমস্যা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।


ভারতীয় বোর্ডের সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী, পদাধিকারী হিসাবে টানা ৬ বছর থাকা যাবে। তারপর ৩ বছরের বাধ্যতামূলক কুলিং অফে যেতে হবে। রাজ্য ক্রিকেট সংস্থায় ৯ বছর ও বোর্ডে ৯ বছর - সব মিলিয়ে একজন ক্রিকেট প্রশাসনে পদাধিকারী হিসাবে ১৮ বছর থাকতে পারবেন।


ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব পদে এই মেয়াদকালে আর এক বছর থাকতে পারবেন জয় শাহ। তিনি আইসিসি চেয়ারম্যান হলে পরে আরও ৪ বছর বোর্ডের পদে থাকার সুযোগ পাবেন। তিনি আইসিসি-তে গেলে ভারতীয় বোর্ডেও বদল হবে। সচিব পদের জন্য নতুন কাউকে বেছে নিতে হবে।