মুম্বই: ঘরোয়া ক্রিকেটে নতুন পদক্ষেপ বিসিসিআই। আগামী মরসুম থেকে রঞ্জি ট্রফির মত টুর্নামেন্টে মহিলা আম্পায়ার দেখা যাবে। ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের ক্রিকেটের উন্নতিতেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বোর্ড। আগামী বছর থেকে শুরু হতে চলেছে মেয়েদের আইপিএলও। এছাড়াও হরমনপ্রীতরাও বার্ষিক চুক্তির আওতায় এসেছেন। এবার রঞ্জির মত ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে ঐতিহ্যশালী টুর্নামেন্টে মহিলা আম্পায়ারদের দেখা যাবে। 


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোর্ড কর্তা জানিয়েছেন, ''ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড যুগান্তকারী এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। আগামী রঞ্জি থেকেই মাঠে মহিলা আম্পায়ারও দেখা যাবে। তাঁরা ম্যাচ পরিচালনা করবেন।'' যে তিন মহিলা আম্পায়ারকে দেখা যাবে আসন্ন রঞ্জিতে, তাঁরা হলেন জননী নায়ায়ণন, গায়ত্রী ভেনুগোপালন ও ভৃন্দা রাঠি। 


চেন্নাইয়ের একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিয়ার জননী। কিন্তু তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে যখন আম্পায়ার পদের জন্য আবেদন জানানোর জন্য বলা হয়েছিল, সেই সময়ই তিনি আবেদন জানিয়েছিলেন। গায়ত্রী ভেনুগোপালন নিজে একজন ক্রিকেটার ছিলেন। কিন্তু কাঁধের চোটের জন্য পরবর্তীতে ক্রিকেট খেলা ছাড়লেও আম্পায়ার হিসেবে এখনও মাঠের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ভৃন্দা রাঠি মুম্বইয়ের বিভিন্ন মাঠের স্কোরার হিসেবে কাজ করেছেন। কিউয়ি আম্পায়ার কেথি ক্রসের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই জীবন আরও বদলে যায়। ২২ গজেও এবার দেখা যাবে ভৃন্দাকে।


কাতার বিশ্বকাপে মহিলা রেফারি


মহিলা। অধিকার। প্রতিবাদ। এই শব্দ গুলো বিশ্বকে যেন এই বিশ্বকাপে দ্বন্দ্ব রাগ ক্ষোভের থেকে আলাদা করে একত্রিত করে দিয়েছে। কখনও জাতীয় সঙ্গীতের সময় প্রতিবাদ। কখনও গ্যালারিতে প্রতিবাদ। সরব দর্শক। একটাই বার্তা, মহিলা পারেনা এমন কিছু নেই। আর মহিলাদের অধিকারের আলোচনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার দেখা যাবে গোটা ৯০ মিনিট সেন্টার থেকে  গোলপোস্ট দৌড়ে চলেছেন একজন মহিলা।  ২২ জন পুরুষ ফুটবলার যখন নিজের দেশকে জেতাতে ঝাঁপাবে তখন একজন মহিলা যেন নিরপেক্ষতার পতাকা নিয়ে দৌড়ে চলেছেন। আর বিশ্ববাসী মনোযোগ দিয়ে সেটা দেখছে, বুঝছে। ম্যাচ পরিচালনা নয় তিনি যেন বিশ্ব কে বার্তা দিচ্ছেন মনে হবে। আর সারা গ্যালারি হাততালিতে গমগম করে উঠবে। যেন পৃথিবী স্যালুট জানাচ্ছে। সেই মহিলাই ম্যাচের পরিচালনার দায়িত্বে, তিনি রেফারি। সঙ্গী রেফারিরাও মহিলা। এটাই বিশ্বকাপ। বিশ্বের জবাব। 


বিশ্বকাপে ইতিহাসের সাক্ষী হয়েছে সারা পৃথিবী। ৩ জন মহিলা রেফারি ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন জার্মানি আর কোস্তারিকার মরণ বাঁচন ম্যাচে। মহিলা রেফারিদের উপস্থিতিতে অন্য মাত্রা পেয়েছে বিশ্বকাপ। ছিলেন ফ্রান্সের স্টেপেনি ফ্রাপারট, ব্রাজিলের নেওজা ব্যাক, মেক্সিকোর কারিনা ডিয়াজ। স্টেপেনি ছিলেন রেফারি আর বাকিরা সহকারী রেফারি।