নয়াদিল্লি: কথা ছিল ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার (IND vs SA) চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে। সেই ম্যাচের জন্য বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে কাতারে কাতারে দর্শক মাঠে জড়ো হয়েছিলেন, স্ট্যান্ড ভরিয়েছিলেন। তবে দিনের শেষে তাঁদের হতাশই হতে হল। ঘন কুয়াশার জেরে ম্যাচই আয়োজন করা গেল। এক বলও খেলা না হয়েই ভেস্তে গেল চতুর্থ টি-টোয়েন্টি।

Continues below advertisement

এই ঘটনার পরে বিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা (Rajeev Shukla) মুখ খুললেন। ঘটনাক্রমে ঘটনাটি তাঁরই ঘরের মাঠে হয়। তিনি জানান পরবর্তীতে ডিসেম্বরের ১৫ থেকে জানুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যে উত্তর ভারতে কোনও ম্যাচ আয়োজিত করা যায় কি না, সেই নিয়ে বোর্ড বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি ANI-কে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'কুয়াশার জন্য ম্যাচ বাতিল করতে হয়েছে। লোকজন স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় হতাশ। ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে উত্তর ভারতে ম্য়াচ আয়োজন করা যায় কি না, সেই বিষয়টা আমরা খতিয়ে দেখব যাতে প্রয়োজনে সেই সময়ের ম্যাচগুলি দক্ষিণ বা পশ্চিম ভারতে স্থানান্তরিত করা যায়। ঘরোয়া ম্য়াচগুলিতেও তো এই কুয়াশার কারণে প্রভাব পড়ছে। এটা সত্যিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।' 

এই কথোপকথনের সময়ই কংগ্রেস সাংসদ শশী তাতুর এগিয়ে এসে বলেন, 'কেরলে আসুন' অর্থাৎ কেরলে ম্যাচ করার আহ্বান জানান তিনি। এমনকী নিজে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেও শশী তারুরকে একই কথা লিখতে দেখা যায়। লখনউয়ে ম্যাচ বাতিল হওয়ার পরেই সেই বিষয়ে মুখ খুললেন শশী তারুর (Shashi Tharoor)। এত খারাপ বাতাসে কেন লখনউয়ে ম্যাচ আয়োজন করা হল, সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেতা।

Continues below advertisement

তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'ক্রিকেট সমর্থকরা বৃথাই লখনউয়ে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ শুরু হওয়ার অপেক্ষা করছিলেন। তবে উত্তর ভারতের সিংহভাগ স্থানের মতোই ব্যাপক ও ঘন কুয়াশা যেখানে একিউআই ৪১১, সেখানে একটি ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজিত করার জন্য দৃশ্যমানতা খুবই খারাপ। ওদের উচিত ছিল তিরুঅনন্তপুরমে ম্যাচটির আয়োজন করা। ওখানে এখন একিউআই ৬৮।'

গতকাল দফায় দফায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেও ম্যাচ শুরু করার সবুজ সংকেত দেননি আম্পায়াররা। রাত সাড়ে ন'টা পর্যন্ত চেষ্টা করে হয়েছিল। তবে ৯টা ২৫ মিনিটে আম্পায়াররা শেষবার মাঠ পর্যবেক্ষণ করার পরই বোঝা গিয়েছিল যে, ম্যাচ শুরু করা সম্ভব নয়। ঘন কুয়াশায় ফ্লাডলাইটের জোরাল আলোও দেখা যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ বাতিলের পথেই হাঁটেন আম্পায়াররা।