বেঙ্গালুরু: অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন। টেস্ট ফর্ম্য়াটে জাতীয় দলে ধীরে ধীরে নিজের জায়গা পাকা করে ফেলছেন আকাশ দীপ। কিন্তু বাংলার তারকা এই পেসার চোটের জন্য ছিটকে গেলেন গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট থেকে। মেলবোর্ন টেস্টে খেলার সময়ই চোট পেয়েছিলেন আকাশ দীপ। পিঠের পেছনে টান অনুভব করছিলেন। মাঠেই অনেকবার সেই ম্য়াচে শুয়ে ফিজিওর শ্রুশ্রুষা নিতে দেখা গিয়েছিল আকাশকে। টিম ম্য়ানেজমেন্টও রিস্ক নেয়নি। সিডনি টেস্টে আকাশের পরিবর্ত হিসেবে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকে খেলানো হয়েছিল। এবার শোনা যাচ্ছে জসপ্রীত বুমরার সঙ্গে আকাশ দীপও ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্য়াকাডেমিতে রিহ্যাব সারবেন। 


বাংলা বিজয় হাজারে ট্রফির নক আউটে জায়গা করে নিয়েছে। অভিমন্যু ঈশ্বরণের নেতৃত্বে আগামী ৯ জানুয়ারি হরিয়ানার বিরুদ্ধে খেলতে নামবে তাঁরা বঢোদরায়। কিন্তু শুধু এই ম্য়াচ বলেই নয়। পুরো মরশুমেই ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছেন আকাশ দীপ। পারথ ও অ্য়াডিলেডে ভারতীয় দল খেলিয়েছিল হর্ষিত রানাকে। কিন্তু গোলাপি বলের টেস্টে হর্ষিতের পারফরম্য়ান্স একেবারেই ভাল ছিল না। যার জন্য শেষ পর্যন্ত তাঁকে বসিয়ে খেলানো হয় আকাশ দীপকে। গাব্বা ও মেলবোর্ন টেস্টে মোট ৭৭.৫ ওভার বল করেন ও ৫৪ গড়ে পাঁচ উইকেট নেন। অনেক ক্ষেত্রে এমনটা হয়েছে যে দুর্দান্ত বোলিং, ভাল লাইন লেংথে বোলিং করেও শুধুমাত্র দুর্ভাগ্যজনকভাবে উইকেট পাননি তরুণ এই ডানহাতি পেসার। 


টেস্টে ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত দেশের জার্সিতে আকাশ দীপ ৭টি ম্য়াচ খেলেছেন। ২৮ বছরের এই পেসার ১৫ উইকেট নিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও ইনিংসে ৪ বা ৫ উইকেট নিতে পারেননি। এখনও টি-টোয়েন্টি ও ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটে দেশের জার্সিতে অবশ্য অভিষেক হয়নি আকাশ দীপের।


এদিকে, বাংলা ক্রিকেট দলের জন্য রঞ্জিতে পরবর্তী ম্য়াচ আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে। ফের রঞ্জি ট্রফি শুরু হতে চলেছে। তবে এখন দেখার রঞ্জিতে আকাশ দীপ কামব্যাক করতে পারেন কি না কোনওভাবে।


চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রোহিতের ডেপুটি বুমরা?


টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটের পর টেস্ট ফর্ম্য়াটেও নেতৃত্বগুণে নির্বাচকদের আস্থা অর্জন করেছেন জসপ্রীত বুমরা। তাই আপাতত বুমরাকেই সহ অধিনায়ক হিসেবে ভাবছে টিম ম্য়ানেজমেন্ট। বিসিসিআইয়ের তরফে মোটমুটি এটাও নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে যে রোহিতই অধিনায়ক হিসেবে খেলতে নামবেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে পারথে বুমরার নেতৃত্বেই ভারত ২৯৫ রানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল।