কল্যাণী: রঞ্জিতে বঢোদরার বিরুদ্ধে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন বাংলার। প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিল অভিমন্যু ঈশ্বরণের  দল। রান তাড়া করতে নেমে বাংলাকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিলেন সুদীপ ঘরামি ও অভিজ্ঞ মনোজ তিওয়ারি। ৭৬ রানে অপরাজিত থাকেন সুদীপ। অন্যদিকে ৬০ রান করে অপরাজিত থাকেন মনোজ তিওয়ারি। এই ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট তুলে নিল বাংলা। মোট ৫ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট দাঁড়াল বাংলার। 


প্রথম ইনিংসে ৮০ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিল বঢোদরা। তবে মুকেশ কুমার ও ঈশান পোড়েলের অনবদ্য বোলিংয়ে ৯৮ রানে অল আউট হয়ে যায় তারা। একমাত্র প্রত্যুশ কুমার ছাড়া আর কোনও ব্যাটারই দু অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি। বাংলার জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭৮। 


কিন্তু রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলা। দুই ওপেনার অভিষেক দাস (৭) এবং অভিমন্যু ঈশ্বরন (৯) দ্রুত ফিরে যান। অনুষ্টুপ প্রথম ইনিংস ৯০ করলেও এই ইনিংসে মাত্র ৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। কিন্তু এরপর সুদীপ ও মনোজ মিলে দলের জয় নিশ্চিত করে দেন। 


একাই বেঙ্গালুরু ফিরলেন দ্রাবিড়


কলকাতায় আসার পর থেকেই শরীর তাঁর সঙ্গ দিচ্ছিল না। এবিপি লাইভেই প্রথম খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা রয়েছে তাঁর। তাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তারপরও গতকাল ইডেনে দলের সঙ্গে মাঠে এসেছিলেন ভারতীয় কোচ। তবে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর এদিন ভোর ৪টে-তে বিমানে বেঙ্গালুরু উড়ে গিয়েছেন দ্রাবিড়। ভারত ও শ্রীলঙ্কা শিবির এখনও শহর ছাড়েনি। সূত্রের খবর, ২ দলই দুপুর ১২টার বিমানে সরাসরি তিরুঅনন্তপুরমে চলে যাবে। সেখানেই আগামী রবিবার সিরিজের শেষ ম্যাচ আয়োজিত হবে। সেই ম্যাচে রাহুলের মাঠে থাকা নিয়ে সংশয় রয়েছে।


তবে দ্রাবিড়ের আচমকা ভোরের ফ্লাইটে বাড়ি ফিরে যাওয়া নিয়ে চিন্তা বেড়েছে। তাহলে কি তাঁর শরীর আরও খারাপ হয়েছে। না কি অন্য় কোনও কারণ, তা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। উল্লেখ্য, বুধবার বিকেলে কলকাতায় পৌঁছে হেড কোচের জন্মদিন পালনের তোড়জোড় সেরে ফেলেছিল ভারতীয় দল। বাইপাসের ধারে টিম ইন্ডিয়ার হোটেলে কেক কাটলেন রাহুল দ্রাবিড়। ক্রিকেটারেরা সকলে মিলে গাইলেন বার্থ ডে ক্যারল।