কলকাতা: ২০১৫ সালের পর ২০২২। রঞ্জিতে দীর্ঘ সাত বছর পর বাংলা দলে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে বল হাতে নজর কেড়েছিলেন। কিন্তু হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটই কাল হল। রঞ্জিতে বাংলার দ্বিতীয় ম্যাচের আগেই ছিটকে গেলেন প্রীতম চক্রবর্তী। বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল জানিয়েছেন যে, হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছেন প্রীতম। তিনি বলেন, ''আমাদের ফিজিওর সঙ্গে প্রীতম কথা বলেছে। ওকে ১২ দিনের বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আপাতত হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছে প্রীতম।''
প্রথম দুই ম্যাচের জন্য বাংলার নির্বাচিত ক্রিকেটারদের তালিকায় প্রীতম ছিলেন না। মুকেশ কুমারের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট থাকায় বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাব করছেন। উত্তরপ্রদেশ ম্যাচের আগে শেষ মুহূর্তে দলে অন্তর্ভুক্ত হন প্রীতম। তাঁকে নিয়ে বাংলার কোচ বলেছিলেন, ''স্থানীয় ক্রিকেটে খুব ভাল পারফর্ম করেছে প্রীতম। আমি ঠিকই করে নিয়েছি, স্থানীয় ক্রিকেটে যারা ভাল পারফর্ম করবে তাদের সুযোগ দেব। প্রীতম সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাল। ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে হবে।''
উত্তরপ্রদেশ ম্যাচের আগে প্রীতম যখন বাংলার হয়ে শেষ খেলেছিলেন, বিশ্বে করোনা অতিমারির প্রাদুর্ভাব ঘটেনি। আফগানিস্তান ফের তালিবানদের কবলে চলে যায়নি। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ক্রিকেট খেলছেন। কিলিয়ান এমবাপে নামে কাউকে সেভাবে চেনেন না ফুটবল গ্রহের কেউ। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সিএবি সচিব। বিনোদনের জগতে লতা মঙ্গেশকর, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো কিংবদন্তি হোন বা খেলার দুনিয়ায় দিয়েগো মারাদোনা, শেন ওয়ার্নের মতো প্রবাদপ্রতিম চরিত্র, সকলেই জীবিত। তিনি, প্রীতম চক্রবর্তী (Pritam Chakraborty)। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে ইডেনেই খেলেছিলেন শেষ রঞ্জি ম্যাচ। সেই ম্যাচে বাংলার অধিনায়ক ছিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। যিনি মাঝে রাজনীতিতে যোগ দেন। মন্ত্রী হন। ফের ফিরেছেন বাইশ গজে। বাংলার কোচ এখন লক্ষ্মীই।
উল্লেখ্য, ঘরের মাঠে রঞ্জিতে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল বাংলা। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয় হয়েছিল মনোজ বাহিনীর। ১৬৯ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় ব্যাটিং বিভাগ। গতকাল ৪৪ রানে অপরাজিত থেকে ক্রিজ ছেড়েছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। এদিন ৬৯ রান করে কৌশিক ঘোষ আউট হন। অন্যদিকে অনুষ্টুপ দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার জার্সিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮৩ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাংলার ক্রাইসিস ম্যান। অনুষ্টুপ ফিরে গেলেও দলের জয় নিশ্চিত করে দেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। ৭টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬০ রানে অপরাজিত থেকে যান তিনি। ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় বাংলা।